কয়েকটি ধারায় আপত্তি বা সংরক্ষণ রেখে ১৯৮৪ সালে জাতিসংঘ ঘোষিত নারীর প্রতি সব ধরনের বৈষম্য বিলোপ সনদে (সিডও) সই করে বাংলাদেশ সরকার। এটি বাস্তবায়নে বার বার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করলেও বাংলাদেশ সরকার দীর্ঘদিন ধরে সিডও সনদের ধারা ২ এবং ১৬.১.গ-এর ওপর সংরক্ষণ আরোপ করে রেখেছে। এ দুটি ধারার ওপর সংরক্ষণ তুলে নিয়ে নারীর প্রতি সব ধরনের বৈষম্য দূর করতে সিডও-এর পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়নে সমাজ, রাষ্ট্র ও গণমাধ্যমকে সঙ্গে নিয়ে সমন্বয় করে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন নারী আন্দোলনের নেত্রীরা। বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ আয়োজিত ‘সিডও সনদের পূর্ণ অনুমোদন এবং বাস্তবায়ন: রাষ্ট্রের বাধ্যবাধকতা এবং গণমাধ্যমের ভূমিকা’ শীর্ষক এক গোলটেবিলে এ আহ্বান জানানো হয়। বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সভাপতি ডা. ফওজিয়া মোসলেমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন লিগ্যাল এইড সম্পাদক রেখা সাহা। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রথম আলোর যুগ্ম সম্পাদক সোহরাব হাসান। আলোচক ছিলেন সংবাদের বার্তা সম্পাদক কাজী রফিক, নারী সাংবাদিক কেন্দ্রের সভাপতি নাসিমুন আরা হক মিনু, আজকের পত্রিকার জ্যেষ্ঠ সহকারী সম্পাদক বিভুরঞ্জন সরকার, কালবেলার বিশেষ প্রতিনিধি আঙ্গুর নাহার মন্টি, কালের কণ্ঠের নিজস্ব প্রতিবেদক ফাতেমা তুজ জোহরা এবং সিটিজেন টাইমসের সম্পাদক আহমেদ তৌফিক।