বসুন্ধরা গ্রুপের পক্ষ থেকে ৭ হাজার দরিদ্র পরিবারের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে। গত শুক্রবার সারা দিন নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার নগরপাড়া, কামসাইর, তারাব, মুড়াপাড়া, দাউদপুর, ভোলাব, চনপাড়া, পূর্বগ্রাম, ইছাখালী, নাওড়াসহ বিভিন্ন এলাকায় এ শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়। রূপগঞ্জের কায়েতপাড়া ইউনিয়নের নাওড়া এলাকায় এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়। শীতবস্ত্র পেয়ে শীতার্ত গরিব মানুষের মুখে হাসি ফুটে ওঠে। শীতবস্ত্র নিতে আসা ৬৫ বছরের হরিসুনা বলেন, ‘আমার সংসারে অভাব-অনটন লাইগা আছে। কয় দিন পরে পরেই বসুন্ধরা গ্রুপের কাছ থেকে খাবার পাই। তা দিয়ে আমার দিন চলে যায়। এখন আবার আমাদের শীতবস্ত্র দিছে। আল্লাহ তাগো মঙ্গল করুক।’
শীতবস্ত্র পাওয়া মনির মিয়া বলেন, ‘বসুন্ধরা গ্রুপের মালিককে আল্লাহতায়ালা আরও দিক। এই গ্রুপ যাতে আরও বড় হয়, সেই দোয়াই করি।’ এ প্রসঙ্গে রংধনু গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘বসুন্ধরা গ্রুপের উদ্যোগে এই শীতবস্ত্র বিতরণ কার্যক্রমকে স্বাগত জানাই। করোনাকালেও দেশের বিভিন্ন এলাকায় বসুন্ধরা গ্রুপের উদ্যোগে খাদ্যসামগ্রী ও বস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে। বেশি উপকৃত হয়েছেন রূপগঞ্জ এলাকার মানুষ। অতীতে ছিল, বর্তমানে আছে, আশা করি ভবিষ্যতেও দেশের বৃহত্তর এই শিল্প গ্রুপটি গরিব ও অসহায় মানুষের পাশে থাকবে। আমরাও তাদের সঙ্গে আছি।’ কায়েতপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সভাপতি মহিউদ্দিন মেম্বার বলেন, করোনার সময় বসুন্ধরা গ্রুপ সারা রূপগঞ্জে ব্যাপক ভূমিকা রেখেছে। নিরীহ ও সাধারণ মানুষকে খাদ্যসামগ্রী, কাপড় বিতরণ করে ও অর্থ দিয়ে সহযোগিতা করেছে। তাদের এ সহযোগিতা সব সময় অব্যাহত রয়েছে। দেশে কোনো দুর্যোগ হলে বসুন্ধরা গ্রুপ সহযোগিতা করে থাকে।’ শীতবস্ত্র বিতরণকালে আরও উপস্থিত ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা শামসুল আলম, অ্যাডভোকেট আবদুল আউয়াল, করিম পাঠান, ব্যবসায়ী রাজু হাসান আলেক, আলাউদ্দিন, আলতাফ হোসেন, আলী আজগর, মহিউদ্দিন মেম্বার, জ্যোৎস্না মহিউদ্দিন, জসিম উদ্দিন, ইমান আলী, বিল্লাল হোসেন, নূর মোহাম্মদ, শারমিন আক্তার, সাহিদা আক্তার, মিনা আকতার প্রমুখ।
