নতুন শিক্ষাক্রম দক্ষ, মানবিক মানুষ হতে শেখাবে বলে মনে করেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। তিনি আরও বলেন, এবার যে বই গেছে সেখানে বলা আছে পরীক্ষামূলক সংস্করণ। আমরা বিভিন্ন পর্যায়ের শিক্ষকদের সঙ্গে বসেছি। এর পরও অনিচ্ছাকৃত ভুল থাকতে পারে। এ ছাড়া সামাজিক মাধ্যম ব্যবহার করে মিথ্যা রটানো হচ্ছে। নতুন শিক্ষাক্রম নিয়ে অপ্রপচার করছে, বিরোধিতা করছে বলেও জানান তিনি। গতকাল রাতে চাঁদপুর প্রেস ক্লাবের নবনির্বাচিত নেতৃবৃন্দের অভিষেক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। অনুষ্ঠানে জাতীয় প্রেস ক্লাবের নবনির্বাচিত সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন ও সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত এবং চাঁদপুরের শিল্পপতি এম এন মুরাদ খানকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে অভিনন্দন জানাই। চাঁদপুর প্রেস ক্লাবের নতুন কমিটিকে অভিনন্দন জানাই। আমার বাবা এই পেশার মানুষ। এই চাঁদপুরের অনেক সাংবাদিকের হাতেখড়ি আমার বাবার হাতেই। আমি এই পরিবারের একজন। বঙ্গবন্ধু যেটিকে সোনার বাংলা বলেছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা এখন সেটিকে স্মার্ট বাংলাদেশ করতে যাচ্ছেন। আমরা অনেক দূর যেতে চাই। স্বাধীন করে দিয়েছেন জাতির পিতা, এগিয়ে নিচ্ছেন কন্যা। ডিজিটাল দেশ হয়েছে, স্মার্ট হব, অনেক দূর যেতে হবে। অনুভূতি ব্যক্ত করতে গিয়ে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন বলেন, নবনির্বাচিত চাঁদপুর প্রেস ক্লাবের নেতৃত্বকে অভিনন্দন জানাই। সাংবাদিকতায় চাঁদপুরের বর্ণাঢ্য ইতিহাস আছে। সাংবাদিকরা যারা কাজ করবেন অবশ্যই দায়িত্বশীলতার সঙ্গে করবেন। আগামী নির্বাচনের কথা এসেছে অনেকের বক্তব্যে। আগামী নির্বাচন অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ। দেশের উন্নয়ন আজ বিশ্বের বিস্ময়। যে স্বপ্ন বঙ্গবন্ধু দেখেছিলেন সেই স্বপ্ন আজ এগিয়ে নিচ্ছেন তাঁরই কন্যা। যে দেশ মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে সৃষ্টি হয়েছে, রক্তের বিনিময়ে হয়েছে সেটি আমাদের মনে থাকলে আমরা কক্ষচ্যুত হব না। জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত বলেন, গণমাধ্যমকর্মী হিসেবে ভালো কাজের প্রশংসা করব, মেট্রোরেলের প্রশংসা করব, পদ্মা সেতুর, রাস্তাঘাটের প্রশংসা করব; আবার যেটি জনগণের পক্ষে যাচ্ছে না সেটির সমালোচনাও করব- এটিই গণমাধ্যমকর্মীদের কাজ। চাঁদপুর প্রেস ক্লাবের সভাপতি এ এইচ এম আহসান উল্লাহর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আল ইমরান শোভনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান, পুলিশ সুপার মো. মিলন মাহমুদ, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ ওচমান গণি পাটওয়ারী, পৌরসভার মেয়র মো. জিল্লুর রহমান, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম নাজিম দেওয়ান।