বৃহস্পতিবার, ১৯ জানুয়ারি, ২০২৩ ০০:০০ টা

৩০ লাখ শহীদের রক্তে ভেজা বাংলাদেশের সংবিধান : স্পিকার

নিজস্ব প্রতিবেদক

স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, ‘৩০ লাখ শহীদের রক্তে ভেজা বাংলাদেশের সংবিধান। এই সংবিধানে স্বাধীনতার চেতনা সুস্পষ্টভাবে প্রতিফলিত হয়েছে। সুতরাং সংসদ বিষয়ক অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে সাংবাদিকদের সংবিধানের উপর সম্যক জ্ঞান থাকতে হবে।’

জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের এলডি হলে গতকাল সাংবাদিক প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে স্পিকার এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ পার্লামেন্ট জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত এ কর্মশালার উদ্বোধনী সেশনে সভাপতিত্ব করেন অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি হারুন আল রশীদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড রিসোর্সেস ডেভেলপমেন্ট ইনিসিয়েটিভ (এমআরডিআই)-এর নির্বাহী পরিচালক হাসিবুর রহমান। স্বাগত বক্তব্য রাখেন অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক নাফিসা দৌলা। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী আরও বলেন, সংবিধানটা হঠাৎ করে কোথাও থেকে আসেনি। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের পরের দিন ১১ জানুয়ারি ১৯৭২ সালে ‘প্রভিশনাল কনস্টিটিউশন অব বাংলাদেশ অর্ডার’ জারি করে স্বাধীন বাংলাদেশের নিজস্ব সংবিধান প্রস্তুতের উদ্যোগ নিয়েছিলেন। যারা ’৭০-এর নির্বাচনে বিজয়ী হয়েছিলেন, তাদের নিয়ে কনস্টিটিউশনাল এসেম্বলি গঠিত হয়।

তাদের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলে ৯ মাসের মধ্যে আমরা সংবিধান হাতে পাই। ১৬ ডিসেম্বর ১৯৭২ সাল থেকে সংবিধান কার্যকর হয়। তিনি বলেন, এই সংবিধানে রাষ্ট্রে জাতীয় সংসদের ভূমিকা, জনপ্রতিনিধিদের ভূমিকা, সরকারি ও বিরোধী দলের ভূমিকা, নির্বাহী বিভাগের ভূমিকা, বিচার বিভাগ ও আইন বিভাগের পারস্পরিক সম্পর্ক কী- সেসব বিষয়ে সুস্পষ্ট বলা আছে। তিনি আরও বলেন, অনেক সময় অনেকে দ্বিধায় পড়ে যান- বিচার বিভাগ সম্পর্কে কিভাবে লিখব? সংবিধান সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা থাকলে লিখতে কোনো সমস্যা হবে না। তিনি বলেন, সংবিধান বিষয়ে স্বচ্ছ ধারণা তৈরিতে এ ধরনের প্রশিক্ষণ কর্মশালা সাংবাদিকদের জন্য সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর স্পিকার ড. শিরীন শারমিন  চৌধুরী ‘সংবিধানের ইতিহাস, গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় আইন সভার ভূমিকা ও বাংলাদেশের ভূমিকা’ শীর্ষক কর্মশালার একটি সেশন পরিচালনা করেন। পরে তিনি সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর