সব নাগরিকের জন্য ডিজিটাল ভূমি সেবা প্রাপ্তি সহজ করতে জেলাভিত্তিক এজেন্ট নিয়োগ দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী। তিনি বলেছেন, আমাদের দেশের বাস্তবতায় ডিজিটাল সাক্ষরতা এখনো শতভাগ নয়। এজন্য সবার পক্ষে অনলাইনে ডিজিটাল সার্ভিস গ্রহণ সম্ভব নয়। সব দিক বিবেচনা করে আমরা ভূমি সেবা এজেন্ট নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এ জন্য প্রাইভেট এজেন্টশিপ নীতিমালাও প্রণয়ন করা হচ্ছে। গতকাল রাজধানীর ব্র্যাক সেন্টার ইন-এ বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ‘এসডিজি বাস্তবায়নে নাগরিক প্ল্যাটফরম, বাংলাদেশ’ এবং ‘মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন’-এর উদ্যোগে আয়োজিত ‘ভূমি ব্যবস্থাপনায় সাম্প্রতিক উদ্যোগ ও নাগরিক অধিকার’ শীর্ষক সংলাপে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ভূমিমন্ত্রী এ কথা বলেন। ভূমি সচিব মো. মোস্তাফিজুর রহমান মুখ্য বক্তা হিসেবে এ সময় উপস্থিত ছিলেন। এসডিজি বাস্তবায়নে নাগরিক প্ল্যাটফরম, বাংলাদেশ-এর সভাপতি এবং সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্যের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)-এর নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান, এটুআই-এর ন্যাশনাল পোর্টাল ইমপ্লিমেন্টেশন স্পেশালিস্ট মোহাম্মদ শামসুজ্জামান প্রমুখ।
মন্ত্রী বলেন, ভূমি ভবনে একটি নাগরিক সেবা কেন্দ্র স্থাপন করা হচ্ছে। পর্যায়ক্রমে জেলা পর্যায়ে এ সেবা সম্প্রসারণ করা হবে। কলসেন্টার ছাড়াও এসব সেবা কেন্দ্রে নাগরিকরা সরাসরি গিয়ে ভূমি সেবা গ্রহণ করতে পারবেন। প্রাইভেট এজেন্ট কার্যক্রম মনিটরের জন্য সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হবে। উপজেলা ও জেলাভিত্তিক নাগরিক কমিটি করার কথাও বিবেচনায় রয়েছে। আমরা ভূমি সেবা সিস্টেম এমনভাবে উন্নয়ন করছি যেন দুর্নীতির সুযোগ না থাকে। মাঠপর্যায়ের ভূমি অফিসের কাজ নিয়মিত মনিটরিং করা হচ্ছে। কোন উপজেলায়, কোন সার্কেলে কত দিনে ফাইল নিষ্পত্তি হচ্ছে- আমরা তা দেখছি। পর্যায়ক্রমে মনিটরিং কার্যক্রম অধিক নিবিড় করা হবে।
