বুধবার, ১৫ মার্চ, ২০২৩ ০০:০০ টা

বাজুস উইমেন অ্যাওয়ার্ড পেলেন ৭০ জুয়েলারি উদ্যোক্তা

নিজস্ব প্রতিবেদক

বাজুস উইমেন অ্যাওয়ার্ড পেলেন ৭০ জুয়েলারি উদ্যোক্তা

রাজধানীর বসুন্ধরা সিটি শপিং কমপ্লেক্সের বাজুস কার্যালয়ে আয়োজিত অনুষ্ঠানে নারী উদ্যোক্তার হাতে বাজুস উইমেন অ্যাওয়ার্ড তুলে দেন বাজুস প্রেসিডেন্ট সায়েম সোবহান আনভীর -বাংলাদেশ প্রতিদিন

আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে জুয়েলারি শিল্পে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ৭০ নারী উদ্যোক্তাকে অ্যাওয়ার্ড দিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন-বাজুস। সংগঠনটি দ্বিতীয়বারের মতো বাজুস উইমেন অ্যাওয়ার্ড দিল। গতকাল রাজধানীর বসুন্ধরা সিটি শপিং কমপ্লেক্সের বাজুস কার্যালয়ে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বাজুস উইমেন অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হয়। বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন উইমেন অ্যাফেয়ার্স আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাজুস প্রেসিডেন্ট সায়েম সোবহান আনভীর। বিশেষ অতিথি ছিলেন দেশের শীর্ষ শিল্পোদ্যোক্তা পরিবার বসুন্ধরা গ্রুপের পরিচালক সাবরিনা সোবহান। বাজুসের উপদেষ্টা রুহুল আমিন রাসেলের সঞ্চালনায় আয়োজক সংগঠনের চেয়ারম্যান ফরিদা হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন ভাইস চেয়ারম্যান সোহানা রউফ চৌধুরী ও সদস্য তাসনিম নাজ মোনা। প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাজুস প্রেসিডেন্ট সায়েম সোবহান আনভীর বলেন, ৩২ বছর ধরে নারীরা দেশ চালাচ্ছেন। আমিও চাই বাজুসে নারীরা আরও এগিয়ে আসবেন। আগামীতে তাঁরা আরও সক্রিয় হবেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত নারী উদ্যোক্তাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আমি চাই আপনারা দোকানে গিয়ে বলবেন কীভাবে গহনা সুন্দর হবে। আপনারা পুরুষের চেয়ে ভালো বলতে পারবেন।

বসুন্ধরা গ্রুপের পরিচালক সাবরিনা সোবহান বলেন, পুরুষের পাশাপাশি নারীরাও জুয়েলারিসহ সব খাতে আরও বেশি এগিয়ে যাবেন এটাই প্রত্যাশা করছি। আগামী দিনের অর্থনীতিতে জুয়েলারি খাত বড় ভূমিকা রাখবে। সেখানে নারী উদ্যোক্তাদেরও অনেক অবদান থাকবে।

সভাপতির বক্তব্যে সংগঠনের চেয়ারম্যান ফরিদা হোসেন বলেন, নিজ যোগ্যতায় সমাজে নারীরা জ্ঞানবিজ্ঞান চর্চা ও ব্যবসা-বাণিজ্যে এগিয়ে যাচ্ছেন। রাজনীতিসহ সব ক্ষেত্রে নারীরা নিজেদের অবস্থান শক্তিশালী করেছেন।

সোহানা রউফ চৌধুরী বলেন, অল্পসংখ্যক নারী জুয়েলারি শিল্পে আছেন। আরও বেশি নারী জুয়েলারি শিল্পে এলে আমরা আরও শক্তিশালী হব। নারীদের জুয়েলারি শিল্পে নিয়ে আসতে কাজ করছি। আরও বেশি নারীকে এ পেশায় যুক্ত করতে সবার সহযোগিতা ও পরামর্শ চান তিনি।

বাজুস উইমেন অ্যাওয়ার্ড জয়ী ৭০ নারী জুয়েলারি উদ্যোক্তা হলেন : কাজী তুহুরা রশিদ, শেফালী মালাকার, ফরিদা হোসেন, কাজী নাজনীন হোসেন, সোহানা রউফ চৌধুরী, সবিতা আগরওয়ালা, মুক্তা রানী ঘোষ, তাসনিম নাজ, সুলতানা রাজিয়া, ডলি কর্মকার, প্রতিমা সাহা, কোহিনুর আক্তার চৌধুরী, আফরিনা হাসনাত, কাজী নূরজাহান (রিনা), সুমা দাস, কাজল রানী ঘোষ, মেহেরুন নেছা, ফেরদৌসী সাদেক, সংযুক্তা দেবনাথ, ফিরোজা আকতার, প্রভাবতী বর্মন, মমতাজ বেগম, রীতা দে, মঞ্জু রানী দাস, তিলোত্তমা ভট্টাচার্য, নমিতা কর্মকার, সর্বরী কর্মকার, সেলিমা আক্তার, ফাহিমা আক্তার, হেলেনা আক্তার, শিউলী শারমিন, রুম্পা মল্লিক, নাহিদা সুলতানা, রিতা বসাক, শারমিন নুসরাত, রুবাইয়া আমিন রূপা, সুমাইয়া আক্তার, ইতি বাড়ৈ, লিপি রানী রায়, আলেয়া বেগম, লক্ষী রানী ঘোষ, সেলিমা বেগম, শিখা রানী সরকার, সুমাইয়া সিন পাশা, ফারহানা আক্তার সাথী, মনিকা কর্মকার, বিলকিস আরা, অনিতা সেন, শাহানা বেগম, তুলসী রানী ঘোষ, ভারতী ঘোষ, শাবানা পারভীন, মিনতী রানী ঘোষ, মাখন রানী মণ্ডল, সঞ্চিতা বসাক, রেখা রানী সাহা, সিতিমা ভট্টাচার্য্য, পূর্ণিমা ঘোষ, সালমা বেগম, তাহেরুন্নেসা, কুসুম আগরওয়াল, শীলা হাজরা, ববি ঘোষ, প্রতিমা কর্মকার, লিলি রানী সূত্রধর, অঞ্জনা রানী ঘোষ, শামিম আরা জোসনা, লাবনীতা রানী কর্মকার, করুণা ঘোষ ও শাহিনা খাতুন।

সর্বশেষ খবর