তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপি রাষ্ট্র নিয়েই হতাশ। রাষ্ট্রপতি নিয়ে তাদের আশা প্রকাশ করার কোনো কারণ তাই আমরা দেখি না। রাষ্ট্রপতি মনোনয়ন দেয় আওয়ামী লীগ। সংসদ সদস্যদের ভোটে তিনি নির্বাচিত হন। আওয়ামী লীগ কাকে মনোনয়ন দেবে, সেটা কি বিএনপি ঠিক করে দেবে? গতকাল তৎকালীন পাকিস্তান সরকার প্রণীত শ্বেতপত্র ১৯৭১-ডিএফপি মুদ্রিত কপির মোড়ক উন্মোচন ও সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।
হাছান মাহমুদ বলেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন একজন অপরিচিত লোককে রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত করায় জাতি হতাশ হয়েছে। ফখরুল তো রাষ্ট্র নিয়েই হতাশ, তা না হলে কি তিনি বলতে পারেন, পাকিস্তানই ভালো ছিল! পাকিস্তান ভালো ছিল, এ কথার মধ্য দিয়ে প্রকাশ পায়, তিনি রাষ্ট্র নিয়ে হতাশ। সুতরাং রাষ্ট্রপতি নিয়ে তার আশা প্রকাশ করার কোনো কারণ নেই। যারা রাষ্ট্র নিয়ে হতাশ তারা রাষ্ট্রপতি নিয়ে হতাশা ব্যক্ত করবেন, এটাই স্বাভাবিক।
তিনি বলেন, নবনির্বাচিত রাষ্ট্রপতি একজন বিচক্ষণ ও বুদ্ধিমান মানুষ। সংকটে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। রাষ্ট্র পরিচালনার ক্ষেত্রে এবং অভিভাবক হিসেবেও তিনি অতীতের মতো সুচতুর ও সুচিন্তিতভাবে দায়িত্ব পালন করবেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ইয়াজউদ্দিন যাকে আবার কেউ কেউ বলেন ইয়েস উদ্দিন সাহেব। বিএনপি যখন তাকে রাষ্ট্রপতি বানায় তখন তাকে কয়জন চিনত? আবদুর রহমান বিশ্বাস যিনি ১৯৭১ সালে শান্তি কমিটির সভাপতি ছিলেন, তাকে কয়জন চিনত? বরিশাল থেকে নিয়ে এসে প্রথমে স্পিকার পরে রাষ্ট্রপতি বানানো হয়েছিল তাকে। এ ছাড়া জিয়াউর রহমান যখন ক্ষমতা দখল করে তখন জিয়াকে কতজন চিনত?
এদিকে, আন্তর্জাতিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান ইন্টারন্যাশনাল অ্যাসোসিয়েশন অব জেনোসাইড স্কলার্স (আইজিএস) কর্তৃক ১৯৭১-এর মহান মুক্তিযুদ্ধে গণহত্যার স্বীকৃতি প্রসঙ্গে তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমাদের মুক্তিযুদ্ধে যে গণহত্যা হয়েছে আন্তর্জাতিকভাবে সেটির স্বীকৃতি পাওয়ার ক্ষেত্রে এটি সহায়ক হবে। আমাদের মুক্তিযুদ্ধের মতো এত মানুষের মৃত্যু না হলেও রুয়ান্ডাসহ পৃথিবীর অনেক স্থানের হত্যাকান্ড জেনোসাইড হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। আমাদের সরকারও এ নিয়ে প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। আইজিএসের এ স্বীকৃতি সেটি বাস্তবায়নে অত্যন্ত সহায়ক হবে।