আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, নির্বাচনে অংশ নেওয়া বিএনপির অধিকার। কোনো সুযোগ না। সরকার তাদের আমন্ত্রণ করে ডেকে আনবে না। গণতান্ত্রিক অধিকারের প্রয়োগ রাজনৈতিক দল হিসেবে তাদের নেওয়া প্রয়োজন। আমরা তাদের কোনো ফাঁদে ফেলছি না। কোনো প্রলোভন দেখাচ্ছি না। গতকাল দুপুরে রাজধানীর একটি হোটেলে ‘সাব-রেজিওনাল মিটিং অ্যান্ড ক্যাপাসিটি বিল্ডিং ওয়ার্কশপ অন এক্সিলারেটিং দ্য ট্রানজিশন টু ইলেকট্রিক মোবিলিটি ইন এশিয়া অ্যান্ড দ্য প্যাসিফিক’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। কর্মশালায় দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ১২টি দেশের প্রতিনিধিরা অংশ নেন। সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরীর সভাপতিত্বে কর্মশালায় বক্তব্য রাখেন বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব হাবিবুর রহমান ও বিশ্ব ব্যাংকের কো-অপারেশন ম্যানেজার দানদান চেন।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি তিনটি দাবি নিয়ে মাঠে নেমেছে। সরকারের পদত্যাগ, পার্লামেন্ট বিলুপ্তি ও তত্ত্বাবধায়ক সরকার। এগুলোর কোনোটি নিয়েই বিদেশি বন্ধুরা সরকারের কাছে কোনো প্রস্তাব করেনি। কোনো চাপও সৃষ্টি করেনি। তারা শুধু ফ্রি অ্যান্ড ফেয়ার ইলেকশন চেয়েছে। বিএনপির যেসব দাবি সেগুলোর বিষয়ে বিদেশিরা একটি শব্দও উচ্চারণ করেনি। তিনি আরও বলেন, বিএনপি কেন আওয়ামী লীগকে বিশ্বাস করছে না, নির্বাচন হবে দেশের সংবিধান অনুযায়ী। পৃথিবীর অন্যান্য গণতান্ত্রিক দেশে যেভাবে নির্বাচন হয় সেভাবেই নির্বাচন হবে। গণতান্ত্রিক অধিকার তাদের প্রয়োগ করা উচিত। আওয়ামী লীগ তাদের অনুগ্রহ করবে কেন। আওয়ামী লীগ কেন তাদের ডেকে আনবে।
তিনি আরও বলেন, দলীয়ভাবে সিদ্ধান্ত হওয়ার আগ পর্যন্ত গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের বিষয়ে কোনো মন্তব্য করব না। জাহাঙ্গীর আলম আওয়ামী লীগ করত। সে আওয়ামী লীগে ছিল। আওয়ামী লীগ থেকে মেয়র হয়েছে। কিন্তু তার মা প্রকাশ্যে কখনো আওয়ামী লীগ করেছেন বলে আমাদের জানা নেই। কাজেই তাকে বিরত রাখা আমাদের বিষয় নয়।
কর্মশালায় সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, উন্নত বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে ঢাকার রাস্তায় চলবে বৈদ্যুতিক গণপরিবহন। চলতি বছরের শেষে বিআরটিসি বহরে ১০০টি দোতলা বৈদ্যুতিক বাস যুক্ত হতে যাচ্ছে। এর মধ্যে ৮০টি ঢাকা নগরীতে, আর ২০টি ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে চলবে।
