শনিবার, ১৩ মে, ২০২৩ ০০:০০ টা

যুক্তরাষ্ট্রে প্রদর্শিত হলো ডকুমেন্টারি ‘ইন সার্চ অব বেঙ্গলি হারলেম’

যুক্তরাষ্ট্র প্রতিনিধি

বহুজাতিক মার্কিন সমাজে বাঙালিদের বসতি শুরুর দিনগুলোয় কঠিন এক অধ্যায়ের সন্ধানে নেমে সে সময়কার অজানা অধ্যায়ের ধারাবিবরণীতে তৈরি করা হয়েছে ‘ইন সার্চ অব বেঙ্গলি হারলেম’ নামক ফিচার ডকুমেন্টারি। যুক্তরাষ্ট্রে বসতি গড়া প্রথম বাঙালির ছেলে খ্যাতনামা কৌতুক অভিনেতা আলাউদ্দিন উল্লাহর এ অভিযাত্রায় সর্বাত্মক সহায়তা দিয়েছেন এমআইটির ভারতীয় বংশোদ্ভূত গবেষক ও লেখক অধ্যাপক বিবেক বাল্ড। গত ২৭ এপ্রিল সন্ধ্যায় ডাউনটাউন ম্যানহাটানে বিএমসিসির ট্রাইবেকা পারফর্মিং আর্ট সেন্টারে বিপুলসংখ্যক বাংলাদেশি-আমেরিকানকে স্বাগত জানান ম্যানহাটান কমিউনিটি কলেজের ছাত্র নাবিল শাহ ও কিউনির এশিয়ান-আমেরিকান বিষয়ক অস্থায়ী পরিচালক সোনিয়া মুন্সি। তাদের বক্তব্যেই দৃশ্যমান হয় নতুন প্রজন্মের শেকড়ের সন্ধানের আকুতি।

এরপরই ৮৪ মিনিটের এ প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শিত হয় পিনপতন নীরবতায়। এরপর প্যানেল আলোচনার সঞ্চালনা করেন নাদিয়া হোসাইন।

প্যানেলিস্টরা ছিলেন বাঙালিদের কলম্বাস হিসেবে পরিচিত হাবিব উল্লাহর ছেলে আলাউদ্দিন উল্লাহ, অধ্যাপক বিবেক বাল্ড, কমিউনিটির অকৃত্রিম বন্ধু হিসেবে পরিচিত নাহার আলম, নিউইয়র্ক সিটির কাউন্সিলওম্যান শাহানা হানিফ, নাদিয়া আহমদ ও নেসার ভূঁইয়া।

মা-বাবার জীবন-কাহিনি সন্ধানের প্রসঙ্গ টেনে তথ্যচিত্রটির সহকারী পরিচালক আলাউদ্দিন উল্লাহ বলেন, ‘আমার চেষ্টা ছিল বাবার ব্যাপারে। কীভাবে তিনি যুক্তরাষ্ট্রে এসেছিলেন, তা সন্ধানের সময়েই মায়ের অস্তিত্ব আবিষ্কার করা।’ পরিচালক বিবেক বাল্ড বলেন, নব্বইয়ের দশকে আমি লন্ডনে বাঙালিসহ দক্ষিণ এশিয়ানদের জীবন-যাপন আলোকে ‘ট্যাক্সিওয়ালা’ মুভি তৈরি করি। দ্বিতীয় মুভি ছিল ব্রিটেনে বাংলাদেশি, পাকিস্তানি, ভারতীয় যুব সমাজের সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের ওপর। আলাউদ্দিন উল্লাহকে এ তৃতীয় মুভি নির্মাণেও অর্থ সংকট মোকাবিলা করতে হয়েছে। নিজেরাই সংগ্রহ করেছি সব অর্থ। এ ধরনের জীবনধর্মী মুভি বানাতে সহজে কেউ ফাইন্যান্স করতে চান না।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর