শনিবার, ২০ মে, ২০২৩ ০০:০০ টা

গণতন্ত্র এগিয়ে নিতে মেধাবী তরুণদের রাজনীতিতে অংশগ্রহণ বাড়াতে হবে

নিজস্ব প্রতিবেদক

‘রাজনৈতিক আলাপ চলবে’- এ প্রতিপাদ্য সামনে রেখে ঢাকায় অনুষ্ঠিত হলো তারুণ্যের মেলা। দেশের প্রধান তিন দলের ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগ, ছাত্রদল ও জাতীয় ছাত্র সমাজের সদস্য ছাড়াও এতে অংশ নেন কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের রাজনীতি সচেতন শিক্ষার্থীরা। গতকাল ঢাকার একটি হোটেলে মাল্টি-পার্টি অ্যাডভোকেসি ফোরাম ঢাকার উদ্যোগে দিনব্যাপী এ তারুণ্যের মেলা অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় বক্তারা বলেন, গণতন্ত্র এগিয়ে নিতে মেধাবী তরুণদের রাজনীতিতে অংশগ্রহণ আরও বাড়াতে হবে। তারুণ্যের মেলায় তিন দলের কেন্দ্রীয় নেতারা অংশ নেন। এ সময় বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স ও জাতীয় পার্টির যুগ্ম মহাসচিব গোলাম মোহম্মদ রাজু। তরুণরা রাজনীতিবিমুখ হয়ে উঠছে উল্লেখ করে বক্তারা রাজনৈতিক দলগুলোর তরুণদের প্রতি আকৃষ্ট করতে বেশি বেশি পদক্ষেপ নেওয়ার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। এ সময় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী বলেন, শেখ মুজিব তরুণ নেতা থেকেই জাতির পিতায় পরিণত হয়েছেন। নবীনের শক্তি ও প্রবীণের প্রজ্ঞাকে গুরুত্ব দিতে হবে। ডিজিটাল বাংলাদেশে সবচেয়ে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে তরুণদের। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে তরুণদেরই গুরুত্ব দিতে হবে। দেশপ্রেম ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় সবাইকে এক থাকতে হবে।  সাম্প্রদায়িকতা, জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস নির্মূলে এক থাকতে হবে। এগুলো মানবতার শত্রু। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স বলেন, যুবকদের শক্তিকে আমরা বিকশিত হতে দেই না। রাজনীতি, শিক্ষাব্যবস্থায় কোথাও আমরা তরুণদের কাজ করতে দেই না। যুক্তি গ্রহণ না করে শক্তিকে গ্রহণ করলে খারাপ কিছু সামনে আসবে। রাষ্ট্রের অক্সিজেন রাজনীতি। আর রাজনীতির অক্সিজেন গণতন্ত্র। এগুলোকে বাধা দিলে চলবে না। বাধা দিলে দেশ ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

জাতীয় পার্টির যুগ্ম মহাসচিব গোলাম মোহাম্মদ রাজু বলেন, সবার আগে দলের মধ্যে গণতন্ত্রের চর্চা করতে হবে, তা না হলে দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা যাবে কীভাবে? শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে ছাত্র নেতৃত্ব বিকাশে দ্রুত ছাত্র সংসদের নির্বাচন দেওয়ার দাবি জানান তিনি। রাজনৈতিক দলগুলোকে পরিবারতন্ত্র থেকে বেরিয়ে আসা প্রয়োজন বলে তিনি উল্লেখ করেন।

সর্বশেষ খবর