শিরোনাম
শনিবার, ২৭ মে, ২০২৩ ০০:০০ টা

আদা ও পিঁয়াজের দাম বাড়িয়ে কোটি কোটি টাকার কারবার

খাতুনগঞ্জ কেন্দ্রিক সিন্ডিকেট সক্রিয়

মুহাম্মদ সেলিম, চট্টগ্রাম

আমদানি বন্ধের অজুহাতে কারসাজি সিন্ডিকেট অস্থির করে তুলেছে আদা ও পিঁয়াজের বাজার। এদের কারণে কোরবানির ঈদ আসার অনেক আগেভাগেই অতি প্রয়োজনীয় মসলা জাতীয় পণ্য পিঁয়াজ ও আদার দাম কয়েক দিনের ব্যবধানে কেজি প্রতি বেড়েছে ৪৫ থেকে ৮০ টাকা। অভিযোগ উঠেছে, পিঁয়াজ ও আদার বাজারে কারসাজি করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে দেশের ভোগ্যপণের অন্যতম পাইকার বাজার খাতুনগঞ্জ ও দেশের কয়েকটি এলাকার সিন্ডিকেট।

এ বিষয়ে চাক্তাই খাতুনগঞ্জ আড়তদার সাধারণ ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মহিউদ্দিন দাবি করছেন, ‘বর্তমানে দেশে পিঁয়াজ আমদানি বন্ধ রয়েছে এবং চীন আদা রপ্তানি বন্ধ রেখেছে। তাই দেশে পিঁয়াজ এবং আদার দাম বাড়ছে।’ তবে খাতুনগঞ্জের একাধিক ব্যবসায়ী বলেছেন- বর্তমানে দেশে আদা এবং পিঁয়াজের পর্যাপ্ত মজুদ রয়েছে- যা দিয়ে অনাসায়ে কোরবানির ঈদের চাহিদা মেটানো সম্ভব।

কিন্তু সিন্ডিকেট কারসাজি করে আগেভাগে অস্থির করে তুলেছে আদা ও পিঁয়াজের বাজার। এরা কৃত্রিম সংকটের অজুহাত তুলে এরই মধ্যে সাধারণ লোকজনের পকেট থেকে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।

আমদানিকারক সূত্রগুলো জানিয়েছে, খাতুনগঞ্জের ব্যবসায়ীরা চীন ভারত ও মিয়ানমার থেকে আদা আমদানি করে। আর কিছু পরিমাণ আদা আমদানি হয় ভিয়েতনাম ও ইন্দোনেশিয়া থেকে। এবার ফলন কম হওয়ায় এক মাস আগে চীন আদা রপ্তানি বন্ধ করে দেয়। আদা রপ্তানিকারক অন্য দেশও রপ্তানি কিছুটা শিথিল করে। আর এই ঘটনাকে অজুহাত হিসেবে দেখানো হচ্ছে। ফলে হু হু করে বাড়তে থাকে আদার দাম। মাত্র ১৫ দিনের ব্যবধানে খাতুনগঞ্জে কেজি প্রতি আদার দাম বেড়েছে ৭০ থেকে ৮০ টাকা। বর্তমানে আদা কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২২০ টাকায়, আগে যা ছিল ১৪০ থেকে ১৫০ টাকার মধ্যে। এদিকে দেশের কৃষকের উৎপাদিত পিঁয়াজের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত করতে সরকার পিঁয়াজ আমদানি বন্ধ রেখেছে। আমদানি অনুমতি (আইপি) না থাকায় দুই মাসের বেশি সময় ধরে ভারত থেকে পিঁয়াজ আসছে না। আইপি বন্ধ থাকার অজুহাত তুলে কারসাজি করা সিন্ডিকেট পিঁয়াজের বাজার অস্থির করে তুলেছে। গত এক মাসে খাতুনগঞ্জে কেজি প্রতি পিঁয়াজের দাম বেড়েছে ৪৬ টাকা। বর্তমানে খাতুনগঞ্জে পিঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকা কেজিতে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর