বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বেগম সেলিমা রহমান বলেন, সরকার পরিকল্পিতভাবে সারা দেশে শান্তি বাহিনীর মতো সন্ত্রাস সৃষ্টি করেছে। মানুষ রাজপথে নেমে এসেছে। জনগণ তাদের ‘হ্যাডম’ দিয়ে আপনাদের রুখে দেবে। একজনের (শাহজাহান ওমর) হ্যাডমের ভয় দেখিয়ে লাভ নেই। দেশের মানুষ শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের মাধ্যমে তাদের অধিকার পুনরুদ্ধার করবে এবং সরকারের নির্বাচনি নাটক রুখে দিতে হবে। জনগণের উদ্দেশে তিনি বলেন- আসুন, আমরা এ সরকারকে না বলে তাদের নাটকের ইতি ঘটাই। গতকাল দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এক মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। চিকিৎসকদের হয়রানি ও গ্রেফতার বন্ধ, বেগম খালেদা জিয়াসহ সব রাজবন্দির মুক্তি এবং দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের তফসিল বাতিলসহ নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচনের দাবিতে এ মানববন্ধনের আয়োজন করে ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব)। সেলিমা রহমান বলেন, আমরা কোন দেশে বাস করছি? গুম-খুন ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের শিকার ব্যক্তিরা কথা বলতে পারে না। মানবাধিকার দিবস সামনে রেখে জাতীয় জাদুঘরের সামনে কর্মসূচি করতে দেয়নি। সরকার এত ভীতু যে, তাদের কর্মসূচি করতে দেয় না। জনগণের ট্যাক্সের টাকায় যাদের জীবন চলে সেই পুলিশ বেআইনিভাবে দমন-পীড়ন চালাচ্ছে ও গ্রেফতার করছে।
তারা গণতন্ত্রের আন্দোলন রুখে দিতে মিথ্যা ও গায়েবি মামলা দিচ্ছে। শান্তি বাহিনীর মতো সন্ত্রাস সৃষ্টি করছে। আমরা যখনই সমাবেশ দিই তখনই তারা পাল্টা শান্তি সমাবেশ করে। শান্তি বাহিনীর মতো বিএনপি ও বিরোধীদলীয় নেতা-কর্মীদের বাড়িতে বাড়িতে হানা দিচ্ছে। মনে রাখবেন, এটাই শেষ দিন নয়।
ড্যাব সভাপতি অধ্যাপক ডা. হারুন আল রশিদের সভাপতিত্বে ও সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব ডা. মেহেদী হাসানের পরিচালনায় মানববন্ধনে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, জিয়া পরিষদের ডা. আবদুল কুদ্দুস, ড্যাবের সিনিয়র সহসভাপতি ডা. এম এ সেলিম, উপদেষ্টা ডা. রফিকুল কবির লাবু, কোষাধ্যক্ষ ডা. জহিরুল ইসলাম শাকিল, অ্যাসোসিয়েশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ-অ্যাব’র সভাপতি প্রকৌশলী রিয়াজুল ইসলাম রিজু, ইউনিভার্সিটি টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ইউট্যাব) প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ড. এ বি এম ওবায়দুল ইসলাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাদা দলের আহ্বায়ক অধ্যাপক লুৎফর রহমান, সিনিয়র সাংবাদিক আমীরুল ইসলাম কাগজী প্রমুখ। মানববন্ধন শেষে প্রেস ক্লাব চত্বরে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়।
