বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ পুলিশের গুলিতে নিহত মামলার তদন্তভার পেয়েছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। গতকাল তদন্ত পিবিআইকে দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রংপুর পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার জাকির হোসেন। মামলার তদন্তভার দেওয়া হয়েছে এসআই জিল্লুর রহমানকে। এ ঘটনায় এর আগে দুটি তদন্ত কমিটি করা হলেও সে তদন্ত আলোর মুখ দেখেনি। গত ১৬ জুলাই বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে সংঘর্ষের সময় গুলিতে নিহত হন আবু সাঈদ। আবু সাঈদ নিহতের ঘটনায় তাজহাট থানার বেরোবি পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এসআই বিভূতি ভূষণ রায় বাদী হয়ে একটি মামলা করেন।
ওই মামলায় আসামি হিসেবে কারও নাম উল্লেখ না থাকলেও এতে বলা হয়, উচ্ছৃঙ্খল ২-৩ হাজার আন্দোলনকারী ছাত্র নামধারী দুর্বৃত্ত। তাদের সঙ্গে বিএনপি ও জামায়াত-শিবির সমর্থিত নেতা-কর্মীও রয়েছে। সাঈদ নিহতের বিষয়ে সুনির্দিষ্টভাবে কিছু লেখা হয়নি এজাহারে। তবে ঘটনা সম্পর্কে মামলায় বলা হয়, ওই সময় পুরো বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। বিভিন্ন দিক থেকে আন্দোলনকারীদের গোলাগুলি ও ইটপাটকেল নিক্ষেপের এক পর্যায়ে একজন শিক্ষার্থীকে রাস্তায় পড়ে যেতে দেখা যায়। তখন তাঁর সহপাঠীরা তাঁকে ধরাধরি করে চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। মৃত ছাত্রের নাম আবু সাঈদ (২৩)। সাঈদের নিহতের বিষয়ে সুস্পষ্ট কোনো মামলা হয়নি। আবু সাঈদ নিহত ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে ঘটে যাওয়া ঘটনা তদন্তে পুলিশের পক্ষ থেকে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে সাত কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। এ ছাড়া বেরোবির পক্ষ থেকেও একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছিল। কিন্তু পুলিশ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের তদন্ত কমিটির কেউ তাদের তদন্ত রিপোর্ট দিতে পারেনি। পিবিআই পুলিশ সুপার জাকির হোসেন বলেন, আবু সাঈদ হত্যা মামলা তদন্তের দায়িত্ব পিবিআইকে দেওয়া হয়েছে। একজন তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়েছে।