চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনে (চসিক) অনুমোদিত জনবল কাঠামো আছে ৪ হাজার ২২৬টি। কিন্তু বর্তমানে এসব পদের বিপরীতে কর্মরত আছেন ৮ হাজার ২৪৫ জন। মূল পদের বিপরীতে ৪ হাজার ১৬ জন বেশি কর্মরত আছেন। তবু চলে আসছিল ‘নো ওয়ার্ক নো পে’ শীর্ষক নিয়োগ। তবে এখন এসব নিয়োগ চসিকের গলার কাঁটা হয়ে আসছে। এসব নিয়োগ নিয়ে নগর ভবনে চলছে তোলপাড়। শেষ পর্যন্ত নিয়োগ প্রক্রিয়া পর্যবেক্ষণে গঠন করা হয়েছে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি।
অভিযোগ আছে, নিয়োগের জন্য পত্রিকায় বিজ্ঞাপন এবং লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার মতো জরুরি প্রক্রিয়াগুলো সম্পন্ন না করেই এসব নিয়োগ দেওয়া হয়। এর মধ্যে গত তিন বছরে দেওয়া হয় অন্তত ৩০০ জনকে। নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে এসব নিয়োগের কলকাঠি নেড়েছেন চসিকের সাবেক সচিব। নিয়োগ দেওয়া হয়েছে শ্রমিক থেকে কলেজশিক্ষক পর্যন্ত।
নিয়োগ প্রক্রিয়াটি ছিল- প্রার্থীদের আবেদনপত্রে চসিক মেয়র ‘বিধি মতে ব্যবস্থা নিন’ লিখে সচিবের কাছে পাঠাতেন। সচিব ফাইল তৈরি করে মেয়রের কাছে উপস্থাপন করতেন। মেয়র সেখানে ‘কাজ নেই, মজুরি নেই’ ভিত্তিতে শ্রমিক হিসেবে নিয়োজিত করা হউক’ লিখে অনুমোদন দিতেন। চসিক সূত্রে জানা যায়, চসিকের অস্থায়ী কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগ নিয়ে নানাভাবে অভিযোগ ওঠে। এর পরিপ্রেক্ষিতে চসিক বিভিন্ন সময়ে অস্থায়ী ভিত্তিতে নিয়োগকৃত জনবল বিষয়ে তদন্ত করতে পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে। কমিটিকে আগামী সাত কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়। চসিক সচিব আশরাফুল আমীনকে আহ্বায়ক, আইন কর্মকর্তা মো. জসিম উদ্দিন, শিক্ষা কর্মকর্তা রাশেদা আক্তার ও জুনিয়র এক্সিকিউটিভ শাহাদাৎ হোসেনকে সদস্য এবং উপসচিব আজিজ আহমেদকে সদস্যসচিব করে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম বলেন, অস্থায়ী নিয়োগ নিয়ে নানা অভিযোগ ওঠে। এসব অভিযোগ তদন্তে পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় কোনো অনিয়ম উঠে এলে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।