খুলনা মেডিকেল কলেজের (খুমেক) একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় ২২ শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তি (শিক্ষা কার্যক্রম স্থগিত ও হোস্টেল থেকে বহিষ্কার) দেওয়া হয়েছে। গতকাল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মো. দীন-উল-ইসলাম বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ শাস্তির কথা জানান। এর আগে রবিবার কলেজের একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় সর্বসম্মতিক্রমে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
জানা যায়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্রছাত্রীদের উত্থাপিত অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে গঠিত তদন্ত কমিটির দাখিল করা প্রতিবেদনের ভিত্তিতে অপরাধী সাব্যস্ত হওয়ায় তাদের শাস্তি দেওয়া হয়। এর মধ্যে এ এম কোরাইশ-ই-হুদা (কে-২৭)-কে দুই বছরের জন্য শিক্ষা কার্যক্রম স্থগিত এবং আজীবন হোস্টেল থেকে বহিষ্কার, বাপ্পি কুমার দে (কে-২৮)-কে এক বছরের জন্য শিক্ষা কার্যক্রম স্থগিত এবং আজীবন হোস্টেল থেকে বহিষ্কার, শোভন বিশ্বাস (কে-২৯), আশফাক হোসেন আনান (কে-২৯) ও মো. নাফিস ফুয়াদ (কে-২৯)-কে ছয় মাস শিক্ষা কার্যক্রম স্থগিত এবং আজীবন হোস্টেল থেকে বহিষ্কার, সেলিম বিন আহমেদ স্বপ্ন (কে-৩২), শরফুদ্দিন চিশতী (কে-৩০) ও রওফুন আলম তুর্য্য (কে-৩০)-কে ছয় মাস শিক্ষা কার্যক্রম স্থগিত এবং হোস্টেল থেকে ছয় মাস বহিষ্কার, শেখ জিসান আহমেদ জীম (কে-৩১)-কে পাঁচ মাস শিক্ষা কার্যক্রম স্থগিত এবং হোস্টেল থেকে ছয় মাস বহিষ্কার, সন্দীপ মহন্ত (কে-২৯)-কে চার মাস শিক্ষা কার্যক্রম স্থগিত এবং হোস্টেল থেকে আজীবন বহিষ্কার, নির্যাস নট্ট (কে-৩২)-কে চার মাস শিক্ষা কার্যক্রম স্থগিত এবং হোস্টেল থেকে চার মাস বহিষ্কার, অঞ্জন কু ু (কে-৩২), মো. মাহাফিজুর রহমান (কে-৩১), মো. রোবায়েত হোসেন রিফাত (কে-৩১) ও মো. তানভীরুল ইসলাম (কে-৩১)-কে দুই মাস শিক্ষা কার্যক্রম স্থগিত এবং হোস্টেল থেকে দুই মাস বহিষ্কার, নাদিম সরকার (কে-৩০), মলয় শিকদার (কে-৩০) ও মো. সেফায়েতুর রহমান (কে ৩১)-কে এক মাস শিক্ষা কার্যক্রম স্থগিত এবং হোস্টেল থেকে এক মাস বহিষ্কার, মেহেদী হাসান সাজ্জিম (কে-৩১) ও শিহাব বাবু (কে-৩১), মিরাজ-আল-ইমরান (কে-৩০) ও মো. আফনান (কে-৩১)-কে সতর্কীকরণ ও মুচলেকা গ্রহণের শাস্তি দেওয়া হয়। জানা যায়, অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে প্রফেসর ডা. গোলাম মাসুদকে সভাপতি করে ৫ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২২ শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়।