জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব বলেছেন, গণঅভ্যুত্থানে পুরনো রাজনৈতিক শক্তির উচ্ছেদ ও নতুন রাজনৈতিক শক্তির উত্থান ঘটেছে। ফলে সংবিধানসহ রাষ্ট্রীয় রাজনীতির মৌলিক ক্ষেত্রে সংস্কারের জন্য অন্তর্বর্তী সরকার যেসব উদ্যোগ গ্রহণ করেছে তা খুবই ইতিবাচক পদক্ষেপ। ছাত্র-জনতা গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে প্রজাতন্ত্রের যে আকাক্সক্ষা সৃষ্টি করেছে তাকে ১৯৭১ সালের সশস্ত্র মুক্তি সংগ্রামের আকাক্সক্ষার সঙ্গে যুক্ত করে যুগান্তকারী রাজনৈতিক বন্দোবস্ত প্রবর্তন করতে হবে। সমাজ এখন রূপান্তরের সন্ধিক্ষণে, এই বাস্তব পরিস্থিতিকে কাজে লাগাতে হবে।
গতকাল রাজধানীর উত্তরায় নিজ বাসভবনে দলের স্থায়ী কমিটির সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সভায় রাজনৈতিক প্রস্তাবে বলা হয়, জুলাই গণহত্যার পরিপ্রেক্ষিতে অকুতভয় সংগ্রামী ছাত্র-জনতার ঐতিহাসিক গণবিক্ষোভ ও গণবিদ্রোহে ঐতিহাসিক গণঅভ্যুত্থানে ইতিহাসের নিকৃষ্টতম ফ্যাসিবাদী সরকারের পতন এবং পলায়ন ইতিহাসে এক অনন্য ও অসাধারণ ঘটনা হিসেবে স্থান করে নেবে।
ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের পর ব্যাপক জনগোষ্ঠীর ম্যান্ডেট ও অভিপ্রায়ের ভিত্তিতে বিশ্ববরেণ্য, নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার গঠন এক সময়োচিত ও দূরদর্শী পদক্ষেপ।
অন্তর্বর্তী সরকারকে দ্রুত আইনশৃঙ্খলাসহ শিল্প কলকারখানার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে অগ্রাধিকার দিতে হবে। বিদ্যুৎ সরবরাহ নিরবচ্ছিন্ন রাখাসহ শিল্প কারখানায় উৎপাদন নিশ্চিত করতে হবে। বন্যা উত্তর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার সার্বিক উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। ভূ-রাজনৈতিক বাস্তবতায় ১৮ বছরের ঊর্ধ্বের যুবশক্তির বাধ্যতামূলক সামরিক প্রশিক্ষণসহ জাতীয় প্রতিরক্ষা নীতি প্রণয়নকে অগ্রাধিকার দিতে হবে।
ছাত্র গণঅভ্যুত্থানের আকাক্সক্ষা ও মুক্তি সংগ্রামের আকাক্সক্ষার সম্মিলনে রাষ্ট্রক্ষমতায় রাজনৈতিক দলের সঙ্গে অদলীয় সমাজশক্তির অংশীদারিত্বভিত্তিক রাজনৈতিক ব্যবস্থাপনায় জাতীয় ঐক্য নিশ্চিত করে গণআকাক্সক্ষা পূরণের সহায়ক রাষ্ট্রব্যবস্থা প্রবর্তনের মাধ্যমে তৃতীয় জাগরণকে ত্বরান্বিত করতে হবে।
আ স ম রব বলেন, সংবিধানসহ সংস্কারের প্রস্তাবনা নিয়ে রাজনৈতিক দল ও অংশীজনদের সঙ্গে সংলাপের আয়োজন করে সুনির্দিষ্ট প্রস্তাবনা দেশবাসীর কাছে উপস্থাপনের যে প্রক্রিয়া ও পদ্ধতি গ্রহণ করা হয়েছে তা বিপুল সম্ভাবনা সৃষ্টি করেছে।