এ বছরের জানুয়ারি থেকে আগস্ট পর্যন্ত ৮ মাসে ২২৪ জন কন্যাশিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে। ৮১ জন কন্যাশিশুকে হত্যা করা হয়েছে। আত্মহত্যা করেছে ১৩৩ জন কন্যাশিশু। পানিতে ডুবে মারা গেছে ১৮৭ জন কন্যাশিশু। ‘কন্যাশিশুর পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদন উপস্থাপন’ শীর্ষক এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। গতকাল রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবে এই সংবাদ সম্মেলন করে জাতীয় শিশুকন্যা অ্যাডভোকেসি ফোরাম। প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন ফোরামের ন্যাশনাল কো-অর্ডিনেটর সৈয়দা আহসানা জামান। সংবাদ সম্মেলনের সভাপতিত্ব করেন জাতীয় কন্যাশিশু অ্যাডভোকেসি ফোরামের সভাপতি ড. বদিউল আলম মজুমদার। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশ মহিলা আইনজীবী সমিতির নির্বাহী পরিচালক সালমা আলী। আরও বক্তব্য দেন ফোরামের সহসভাপতি শাহীন আকতার, গুড নেইবারস বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর মাঈনুদ্দিন মাইনুল, এডুকো বাংলাদেশের চাইল্ড রাইটস অ্যান্ড প্রটেকশন বিশেষজ্ঞ মো. শহীদুল ইসলাম ও এডুকো বাংলাদেশের পলিসি অ্যান্ড অ্যাডভোকেসির ব্যবস্থাপক হালিমা আক্তার। আয়োজনে সহযোগিতা করে এডুকো বাংলাদেশ।
ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, ‘কন্যাশিশুরা আমাদের সম্পদ, তারা বোঝা নয়। কন্যাশিশুদের প্রতি যথাযথ বিনিয়োগের অভাবে তারা অপুষ্টির শিকার হচ্ছে এবং তাদের অনেকেই মানসম্মত শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। অ্যাডভোকেট সালমা আলী বলেন, ঘরে-বাইরে-স্কুলে কোথাও আমাদের নারী ও কন্যাশিশুরা নিরাপদ নয়। তারা নানাভাবে নির্যাতন ও যৌন হয়রানির শিকার হচ্ছে। অথচ যৌন হয়রানি রোধের বিষয়ে হাই কোর্টের নির্দেশনা রয়েছে। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে আইনের যথাযথ প্রয়োগ হচ্ছে না।