প্রতিবছরের মতো এবারও রাজধানীর এয়ারপোর্ট কাওলা এলাকায় আগামীকাল বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হচ্ছে দাওয়াতে ইসলামির তিন দিনের সুন্নাতে ভরা ইজতেমা। বিশ্বব্যাপী অরাজনৈতিক দ্বীনি সংগঠন দাওয়াতে ইসলামির এ ইজতেমা চলবে ১৯-২১ ডিসেম্বর পর্যন্ত। ইজতেমায় যোগ দেবেন সারা দেশের লাখো মুসল্লি। গতকাল সংগঠনের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তি থেকে এসব তথ্য জানানো হয়। তিন দিনের সুন্নাতে ভরা এ ইজতেমার জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন দাওয়াতে ইসলামি বাংলাদেশের জিম্মাদার (মিডিয়া বিভাগ) মুফতি জহিরুল ইসলাম মুজাদ্দেদী আত্তারী। বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ইতোমধ্যে কাওলায় ময়দানজুড়ে টানানো হয়েছে বিশাল প্যান্ডেল। পুলিশ চেকপোস্ট, সিসি ক্যামেরা স্থাপনসহ নেওয়া হয়েছে সর্বোচ্চ নিরাপত্তাব্যবস্থা। ইজতেমা ময়দানে প্রবেশপথে বসানো হয়েছে বিশেষ চেকপোস্ট ও পাঁচটি ওয়াচ টাওয়ার। আগত মুসল্লিদের তল্লাশি করে মাঠে প্রবেশ করানো হবে। পুলিশ, বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার পাশাপাশি নিরাপত্তায় নিয়োজিত থাকবে দাওয়াতে ইসলামির কয়েক শ নিজস্ব নিরাপত্তাকর্মী। এ ছাড়া মুসল্লিদের জন্য অজু, গোসল, প্রয়োজনীয় হাজতখানা ও খাবারের জন্য বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা করা হয়েছে। পিডিবির সহায়তায় দেওয়া হয়েছে বিদ্যুৎ সংযোগ।
মুফতি জহিরুল ইসলাম মুজাদ্দেদী জানান, সুফিবাদ ও আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াতের আকিদায় বিশ্বাসী, বিশ্বব্যাপী অরাজনৈতিক সংগঠন হলো দাওয়াতে ইসলামি। সারা বিশ্বের মতো এ দেশে ২০১৫ সাল থেকে তিন দিনের এই ইজতেমা করে আসছে।
ইজতেমায় কোরআন, সুন্নাহ, ইজমা-কেয়াসের ভিত্তিতে ইমান-আকিদা ও আমল সম্পর্কে দিনরাত বয়ান করা হবে। কীভাবে নামাজ পড়তে হবে, ইসলামের ফরজ, সুন্নাত, নফল এবাদত কীভাবে করতে হয় দালিলিক প্রমাণ দ্বারা হাতে-কলমে মুসল্লিদের শিখিয়ে দেওয়া হবে। ইসলাম শান্তির ধর্ম, শান্তির পথে ইসলামের দিকে মানুষকে আহ্বান করা, জেহাদের নামে জঙ্গিবাদের যে স্থান নেই- এ বিষয়টি জনসাধারণকে সচেতন করে তুলতে কোরআন-সুন্নাহভিত্তিক আলোচনা হবে। দেশের বরেণ্য সুন্নি ওলামায়ে কেরাম ও মোবাল্লিগরা আলোচনায় অংশ নেবেন। প্রতিদিন বয়ান শেষে মিলাদ, কিয়াম ও মোনাজাতের মধ্য দিয়ে দেশ, জাতি ও মুসলিম বিশ্বের জন্য দোয়া করা হবে।