এলিট ফোর্স র্যাব পুনর্গঠন বিষয়ক আলোচনায় বক্তারা বলেছেন, র্যাবকে সংবিধান, আইন এবং বিবেকের কাছে দায়বদ্ধ থেকে কাজ করতে হবে। কীভাবে মানবাধিকার সুরক্ষা করে দেশের উন্নয়নে অবদান রাখতে পারে তা নিয়ে নির্দেশনামূলক বক্তব্য দিয়েছেন আলোচকরা। বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা দিতে এবং বাহিনীর সদস্যদের সক্ষমতা বৃদ্ধি ও কৌশলগত দক্ষতা উন্নয়নে জোর দেওয়া হয়েছে।
গতকাল রাজধানীর উত্তরায় র্যাব ফোর্সের সদর দপ্তরের কর্মকর্তাদের নিয়ে এই সেমিনারের আয়োজন করা হয়। দুই দফায় অনুষ্ঠিত এই মানবাধিকার বিষয়ক অনুষ্ঠানে সেমিনারে আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন গুম কমিশনের চেয়ারম্যান বিচারপতি মাইনুল ইসলাম চৌধুরী, আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম, প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব মোহাম্মদ শফিকুল আলম।
মিডিয়া ব্যবস্থাপনা এবং জনগণের প্রত্যাশার চ্যালেঞ্জকে কীভাবে মোকাবিলা করা যেতে পারে এ ব্যাপারে বিভিন্ন প্রেক্ষাপট নিয়ে আলোচনা করেন শফিকুল আলম ও সুপ্রিম কোর্ট অ্যাডভোকেট ও সংবিধান বিশেষজ্ঞ ড. শাহদীন মালিক।
এতে বিচারপতি মাইনুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, বিশ্বের অনেক দেশেই এলিট ফোর্স রয়েছে। বাংলাদেশেও দেশ রক্ষায় এলিট ফোর্স দরকার। তবে জনগণের আস্থা ফিরিয়ে আনতে হবে। র্যাবেরও অনেক অর্জন আছে। পাশাপাশি কিছু অপকর্মের সঙ্গেও জড়িত হয়েছিলেন এই বাহিনীর সদস্যরা।
অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম বলেছেন, সংবিধান, আইন এবং বিবেকের কাছে দায়বদ্ধ থেকে কাজ করতে হবে। মানবাধিকার সুরক্ষিত রেখে র্যাবও দেশের উন্নয়নে অবদান রাখতে পারে। প্রথম দফার আলোচনায় অংশ নিয়ে ড. শাহদীন মালিক বাংলাদেশের সংবিধান ও আন্তর্জাতিক আইনের আলোকে মানবাধিকার বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। মানবাধিকার বিষয়ে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দিক তুলে ধরেন; যা র?্যাব ফোর্সের দৈনন্দিন কার্যাবলির সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে সম্পর্কযুক্ত।