চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) নগর ভবন নির্মাণের ভিস্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয় ২০১০ সালের ১১ মার্চ। এর পর প্রায় ১৫টি বছর চলে গেছে। এ সময়ে মেয়র ও প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন পাঁচজন। কিন্তু আলোর মুখ দেখেনি আইকনিক নগর ভবনটি। সর্বশেষ গত ৬ মে নির্মাণের লক্ষ্যে ফের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়। কিন্তু নানা সংকটে কাজ চলছে শম্ভুক গতিতে।
নগরের আন্দরকিল্লা মোড়ে নির্মাণ হচ্ছে আইকনিক নগর ভবন। এর আগে আন্দরকিল্লায় দুটি নগর ভবন ছিল। কিন্তু ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় ১৯৬৪ সালে নির্মিত অতি পুরনো ভবনটি ২০১৯ সালে এবং অপর ভবনটি ২০২৩ সালে ভেঙে ফেলা হয়। বর্তমানে চসিকের কার্যক্রম চলছে টাইগারপাসস্থ অস্থায়ী কার্যালয়ে।
জানা যায়, ২০১০ সালের ১০ মার্চ ১০ কোটি টাকা ব্যয়ে নগর ভবন নির্মাণের কার্যাদেশ দেওয়া হয়। কিন্তু তখন কাজ শুরু হয়নি। পরে ২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে পুনরায় নির্মাণকাজ শুরু হয়। তখন পাইলিংসহ আনুষঙ্গিক কিছু কাজও হয়েছিল। পরে নানা জটিলতায় নির্মাণকাজ বন্ধ হয়ে যায়। ২০১৬ সালে আবারও নতুন করে ডিপিপি প্রণয়ন হয়। নির্মাণ ব্যয় ধরা হয় ২০২ কোটি টাকা। প্রাথমিকভবে ব্যয় করার কথা ২৮ কোটি ৮০ লাখ টাকা। কিন্তু দেখা দেয় আর্থিকসহ নানা জটিলতা। পরে গত ৬ মে আইকনিক নগর ভবন নির্মাণে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়। কিন্তু এখনো কাজ রয়েছে কেবল পাইলিং পর্যায়ে। চারদিকে টিন দিয়ে ঘেরা জায়গায় কাজ করছেন কিছু নির্মাণশ্রমিক। ৩২০টি পাইলিংয়ের মধ্যে শেষ হয়েছে ৮২টি। কাজের অগ্রগতি মাত্র ১০ শতাংশ, প্রথম ধাপে খরচ হয়েছে প্রায় দেড় কোটি টাকা।
এ বিষয়ে চসিকের নির্বাহী প্রকৌশলী ফারজানা মুক্তা বলেন, নগর ভবন নির্মাণের কাজ চলছে, তবে তা ধীর গতিতে। এখানে আগে হওয়া পাইলিংয়ের কিছু উপকরণ থেকে গেছে। এখন কাজ করতে গিয়ে সেগুলো দৃশ্যমান হচ্ছে। এগুলো সরানোও কঠিন। আবার পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে অর্থ সংস্থানও একটা বড় সমস্যা। এত বড় প্রকল্পে অর্থ জোগানের মতো অবস্থা নেই চসিকের। এরই মধ্যে নতুন মেয়র নগর ভবন নির্মাণকাজ পরিদর্শন করেছেন। আশা করছি, কাজ আবারও দ্রুতগতিতে এগিয়ে যাবে।
উল্লেখ্য, ২০১০ সালের ১০ মার্চের পর থেকে চসিকের মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী, এম মনজুর আলম, আ জ ম নাছির উদ্দীন, রেজাউল করিম চৌধুরী। প্রশাসকের দায়িত্ব পালন করেন খোরশেদ আলম সুজন।