চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে বাস ও মাইক্রো বাসের সংঘর্ষে নিহত ১০ জনের পরিচয় পাওয়া গেছে। নিহত ১০ জনের মধ্যে একজন হচ্ছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ঢাকার মিরপুর এলাকার সাবেক সমন্বয়ক তানিফা আহমেদ। বুধবার সকালে চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার যাওয়ার পথে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন তানিফার মামা-মামিসহ তাদের দুই সন্তান।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় মুখপাত্র উমামা ফাতেমা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এক স্ট্যাটাসের মাধ্যমে লিখেন, ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মিরপুর মডেল থানার সহ-মুখপাত্র, তানিফা আহমেদ চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার যাওয়ার পথে এক মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিটি ধাপে তানিফা সততা, নিষ্ঠা ও একনিষ্ঠতার সহিত কাজ করে গেছেন। তার অকালে এভাবে চলে যাওয়া আমাদের জন্য অপূরণীয় ক্ষতি। আল্লাহ পাক তাকে জান্নাতুল ফেরদৌসের উচ্চ মাকাম দান করুন। আমিন।’
এদিকে পরিচয় পাওয়া অন্যরা হলেন, তানিফা আহমেদের মামা রফিকুল ইসলাম শামীম (৪৬) ও তার স্ত্রী লুৎফুন নাহার সুমি (৩৫)। তাদের দুই মেয়ে ৮ বছরের লিয়ানা এবং আনিসা। এ ছাড়াও মাইক্রোবাসের যাত্রী দিলীপ মণ্ডল (৪৩) ও সাধনা রাণী মণ্ডল (৩৭) দম্পতি। তাদের বাড়ি ঝিনাইদহের শৈলকুপায়। তবে সৌভাগ্যক্রমে বেঁচে যান তাদের কন্যা আরাধ্যা। ওই গাড়িতে থাকা ৬০ বছর বয়সি আশীষ মণ্ডলও চমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। তিনি সম্পর্কে দিলীপের ভাই। তাছাড়া দুর্ঘটনার শিকার মাইক্রোবাসটির চালক ইউসুফ আলী (৫৫) মারা গেছেন।
তার বাড়ি রাজধানীর দক্ষিণখানে। পাশাপাশি মুক্তার হোসেন নামে আরও এক ব্যক্তির মৃত্যু হয় এ দুর্ঘটনায়। তার নাম জানা গেলেও পুরো পরিচয় জানাতে পারেনি দোহাজারী হাইওয়ে পুলিশ।
উল্লেখ্য, চট্টগ্রামের লোহাগাড়ার ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চুনতি জাঙ্গালিয়া এলাকায় গত ২ এপ্রিল বুধবার সকাল ৭টার দিকে যাত্রীবাহী বাস ও মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে ১০ জন নিহত হন।