দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অন্যতম দৃষ্টিনন্দন সড়ক ‘পূর্বাচল ৩০০ ফুট এক্সপ্রেসওয়ে’ থেকে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় প্রবেশে আরও একটি সংযোগসড়ক উন্মুক্ত হতে যাচ্ছে। নেভি অ্যাঙ্করেজ স্কুল অ্যান্ড কলেজের ঠিক বিপরীতে সংযোগসড়কটি এক্সপ্রেসওয়ের সঙ্গে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার জি ব্লকের ৮০ ফুট প্রশস্ত সাবরিনা সোবহান এভিনিউ সড়ককে সংযুক্ত করবে। প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ২৪ ইঞ্জিনিয়ারিং কনস্ট্রাকশন ব্রিগেড। গতকাল সরেজমিনে দেখা যায়, খিলক্ষেত নৌঘাঁটির ঠিক বিপরীত পাশে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা ও এক্সপ্রেসওয়ের মধ্যবর্তী ১০০ ফুট খালের ওপরে ব্রিজ নির্মাণের কাজ জোরেশোরে এগিয়ে চলছে। নির্মাণকাজ তদারকি করছিলেন সাইট ইঞ্জিনিয়ার মামুনুর ইসলাম। তিনি বাংলাদেশ প্রতিদিনকে জানান, ব্রিজটি মাঝ বরাবর ২২.৭ মিটার (৭৪.৪৫ ফুট) ও দুই প্রান্তে ৪৫ মিটার (প্রায় ১৫০ ফুট) চওড়া। গত রমজানে ব্রিজের কাজ শুরু হয়। অধিকাংশ কাজ শেষ। এখন শুধু ওপরে ঢালাই বাকি, যা আগামী দেড়-দুই মাসে শেষ হয়ে যাবে। এরপর মূল সড়কের সঙ্গে ব্রিজকে সংযুক্ত করা হবে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বর্তমানে চারটি সংযোগসড়ক দিয়ে এক্সপ্রেসওয়ে থেকে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় আসা-যাওয়া করছে সাধারণ মানুষ। একটি সংযোগসড়ক মিলেছে আগা খান একাডেমির পাশ দিয়ে সায়েম সোবহান আনভীর সড়কে। সড়কটি এ, বি, সি, ডি, ই, এফ ও জি ব্লককে সরাসরি যুক্ত করেছে। আরেকটি সংযোগসড়ক মিলেছে জে ব্লকে। সড়কটি জে, কে, আই ও এইচ ব্লকের বাসিন্দাদের যাতায়াত সহজ করেছে। এক্সপ্রেসওয়ের প্রথম ইন্টারসেকশন দিয়ে একটি সংযোগসড়ক মিলেছে বসুন্ধরার এল ব্লকে। সড়কটি এল ও এম ব্লকে যাতায়াত সহজ করেছে। এক্সপ্রেসওয়ের দ্বিতীয় ইন্টারসেকশন দিয়ে আরেকটি সংযোগ চলে গেছে বসুন্ধরার এম ও এন ব্লক ঘেঁষে। নতুন সংযোগসড়কটি সানিডেল স্কুলের পাশ দিয়ে ডি, ই, এফ, জি ও এইচ ব্লকে যাতায়াত আরও সহজ করবে। এ ছাড়া আরও একটি সংযোগসড়কের একাংশ এক্সপ্রেসওয়ের সঙ্গে ডুমনিকে, আরেকটি অংশ বসুন্ধরার এন ব্লককে যুক্ত করেছে।
নতুন সংযোগসড়কটি চালু হলে সংশ্লিষ্ট ব্লকের বাসিন্দাদের জন্য খুবই উপকার হবে জানিয়ে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার ২৩ নম্বর সড়কের ৭৭০ নম্বর বাড়ির মালিক শেখ মোহাম্মদ হাতিম বলেন, নতুন রাস্তাটি হলে বাসা থেকে বের হয়ে এক মিনিটের মধ্যে এক্সপ্রেসওয়েতে উঠতে পারব। এ ছাড়া সানিডেল স্কুলের বাচ্চাদের আসা-যাওয়া, বসুন্ধরা চক্ষু হাসপাতালে রোগীদের যাতায়াত আরও সহজ হবে।