দৈনিক সরেজমিন বার্তার সাংবাদিক লিটন সিকদার অভিযোগ করেছেন, ঘটনার সময় কারাগারে থাকার পরও তিনি হত্যা মামলার আসামি হয়েছেন। তিনি আদালতে দাবি করেন, গত বছরের ২০ জুলাই ওই ঘটনার প্রায় চার বছর আগে তিনি জেলে যান এবং জামিন পান তিন মাস পর। গতকাল ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জি এম ফারহান ইশতিয়াকের আদালতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় রাজধানীর ভাটারা এলাকায় মো. জাহাঙ্গীর নামে এক ব্যক্তিকে হত্যা মামলার গ্রেপ্তার দেখানোর শুনানিতে এসব কথা বলেন তিনি। আদালতে শুনানির সময় জানান, যে মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে, ওই ঘটনায় সময় তিনি কারাগারে ছিলেন।
ঘটনার তিন মাস পর কারামুক্ত হন। সে ঘটনায় করা মামলায় আমি কীভাবে আসামি হই। তখন আদালত বলেন, আপনার আইনজীবী নেই? তিনি জানান, আজ নেই।
জানা যায়, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ভাটারা থানার উপপরিদর্শক নাজমুল আলম লিটন সিকদারকে এ মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর জন্য আবেদন করেন। আদালত তার উপস্থিতিতে গ্রেপ্তার দেখানোর বিষয়ে শুনানির জন্য গতকাল দিন ধার্য করেন।
লিটন সিকদার আদালতে আরও জানান, তিনি একজন সাংবাদিক। ফরিদপুরে ২ হাজার কোটি টাকা পাচার নিয়ে নিউজ করার কারণে তার নামে ২০২০ সালে ২৬টি মামলা দেওয়া হয়। ওই বছরের ২৯ সেপ্টেম্বর তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গত বছরের ২২ অক্টোবর তিনি কারাগার থেকে মুক্তি পান। যে অভিযোগে তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে সেই ঘটনার তিন মাস পর মুক্তি পান। জেলে থেকে কীভাবে এ ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত হলেন।
জানা গেছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ভাটারা থানাধীন যমুনা ফিউচার পার্কের পাশে গত ২০ জুলাই আন্দোলনে অংশ নেন মো. জাহাঙ্গীর। এদিন দুপুর ১২টায় আসামিদের ছোড়া গুলিতে আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি। পরে ২১ জুলাই মারা যান। এ ঘটনায় এ বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি ভাটারা থানায় হত্যা মামলা করা হয়।