ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির ও চরমোনাইর পীর সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম বলেছেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচন যখনই হোক না কেন, তার আগে সংস্কার করা জরুরি। সংস্কার ও নির্বাচন দুটিই করতে হবে। গতকাল বিকালে বগুড়া শহরের সাতমাথা মুক্তমঞ্চে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ আয়োজিত গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বগুড়া জেলা শাখার সভাপতি আ. ন. ম. মামুনুর রশিদের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন নায়েবে আমির আল্লামা আবদুল হক আজাদ, সংগঠনের নেতা মাওলানা আবদুল মতিন, মুফতি ইমদাদুল হক, মাওলানা শাহজালাল, মাওলানা আবদুস সালাম, মাওলানা আবদুল লতিফ, মুহাম্মদ শাহিন আলম, মুহাম্মদ সোহরাব হোসেন, মাওলানা আবুল কালাম আজাদ, সহকারী অধ্যাপক শফিকুল ইসলাম শফিক, প্রভাষক মীর মাহমুদুর রহমান চুন্নু, মাওলানা আলতাব আলী, মাওলানা সুলতান মাহমুদ, আলহাজ আবদুর রউফ রাজু, মুহাম্মদ ফরহাদ হোসেন মন্টু, মুহাম্মদ নাঈম হাসান প্রমুখ।
নারী সংস্কার কমিশন ও নারী নীতিমালা কোরআন-হাদিসের সঙ্গে সম্পূর্ণ সাংঘর্ষিক উল্লেখ করে পীর চরমোনাই বলেন, নারী সংস্কার কমিশনসহ তাদেও কোরআন সুন্নাহবিরোধী প্রস্তাবনা বাতিল করতে হবে। গ্রেপ্তার করতে হবে জুলাই-আগস্ট বিপ্লবে গণহত্যাকারীদের; বিচার নিশ্চিত করতে হবে দুর্নীতিবাজদের। তাদের অবৈধ সম্পদ বায়েজাপ্ত করে নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা করতে হবে। সংখ্যানুপাতিক (পিআর) পদ্ধতিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচন করতে হবে। ইহকালীন শান্তি ও পরকালীন মুক্তির লক্ষ্যে ইসলামী সমাজভিত্তিক কল্যাণকর রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে হবে। ইসলামবিরোধী নারী নীতিমালা বাতিল করে শাপলা চত্বরে হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। রেজাউল করীম বলেন, পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, ব্যভিচারী নারী ও পুরুষকে কঠোর শাস্তি দিতে হবে। মিয়ানমারকে মানবিক করিডরের প্রস্তাব প্রকৃতপক্ষে রাখাইন ও পার্বত্য অঞ্চলকে একটি খ্রিস্টান রাষ্ট্র বানানোর পাঁয়তারা। অথচ ১৩ লাখ রোহিঙ্গা মুসলমানকে মিয়ানমারে ফেরত পাঠানোর জন্য জাতিসংঘ কোনো পদক্ষেপ নেয়নি।