পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (আরইবি) ও পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির (পবিস) মধ্যে চলমান সংকটের কারণে সাত দফা দাবি আদায়ে আন্দোলন করেন পবিস কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। যদিও ‘পল্লী বিদ্যুৎ সংস্কার’ বিষয়টিকে অজুহাত হিসেবে সামনে এন পবিসের কিছু কর্মচারী দেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরির চেষ্টা করছেন বলে গতকাল এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায় বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়। এ অবস্থায় এই পরিস্থিতির সুষ্ঠু সমাধানের উদ্যোগ নিয়েছে সরকারের বিদ্যুৎ বিভাগ।
এর অংশ হিসেবে আরইবি ও পবিসের ভূমিকা ও কাঠামোগত সংস্কারের জন্য সরকার ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে আহ্বায়ক করে একটি কমিটি গঠন করেছে। আসছে ঈদের ছুটির আগে সংশ্লিষ্ট সব স্টেকহোল্ডারকে নিয়ে এ কমিটির একটি চূড়ান্ত রিপোর্ট দেওয়ার কথা রয়েছে। রিপোর্ট পাওয়ার পর সরকার পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে। আরইবি কর্মচারীদের সঙ্গে পবিস কর্মচারীদের পদমর্যাদার বিষয়টি ভারসাম্যপূর্ণ অবস্থায় আনার জন্য বিদ্যুৎ বিভাগের একজন অতিরিক্ত সচিবের নেতৃত্বে একটি কমিটি কাজ করছে।
এবং আগামী সপ্তাহে এ বিষয়ে নির্দেশনা জারি করা হবে।
এ ছাড়া আরইবি ও পবিস কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের যোগাযোগের ক্ষেত্রে সহকর্মীসুলভ আচরণের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। শৃঙ্খলা ভাঙার অভিযোগে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির যেসব কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তাদের মধ্যে যারা নাশকতামূলক কাজের সঙ্গে জড়িত না তাদের বিরুদ্ধে গৃহীত ব্যবস্থা পুনর্বিবেচনা করার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আরইবির বোর্ডের ক্রয়, নিয়োগ ও পদোন্নতি প্রক্রিয়ায় দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে। অভিযোগের সত্যতা প্রমাণিত হলে সেই কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।