আগামী শনিবার থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজে (ঢামেক) শিক্ষা কার্যক্রম চালুর নির্দেশ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। পাঁচ দফা দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে বন্ধ হয়ে যাওয়ার ১৮ দিন পর খুলছে ঢামেক। মঙ্গলবার ঢাকা মেডিকেল কলেজের অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। ঢামেক অধ্যক্ষ ডা. মো. কামরুল আলম বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা ক্লাসে ফিরতে চায়। হোস্টেল এবং কলেজ বন্ধ থাকায় তাদের অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। এজন্য আগামী শনিবার থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজের একাডেমিক কার্যক্রম শুরু হবে। শুক্রবার সকালে কলেজের হোস্টেলগুলো খুলে দেওয়া হবে’।
নিরাপদ আবাসন সুবিধা নিশ্চিত করাসহ পাঁচ দফা দাবিতে মে মাস থেকে ক্লাস বর্জন করে আসছিলেন ঢামেক শিক্ষার্থীরা। এ দাবিতে ২১ জুন তারা কলেজ ক্যাম্পাসে মানববন্ধন করেন। কর্মসূচি চলার মধ্যেই ঢাকা মেডিকেল কলেজ অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে বিজ্ঞপ্তি দেয় কলেজ কর্তৃপক্ষ। সেই সঙ্গে শিক্ষার্থীদের ২২ জুন দুপুর ১২টার মধ্যে হোস্টেল ত্যাগ করতে বলা হয়। তবে সেদিন সন্ধ্যায় শিক্ষার্থীরা বলেন, তারা হোস্টেল ছাড়বেন না। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তারা সেখানেই অবস্থান করবেন।
২৩ জুন বেলা ১১টার দিকে শিক্ষার্থীদের সাত সদস্যের একটি দল সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে যান। তাদের সঙ্গে ছিলেন অধ্যক্ষ কামরুল আলম। স্বাস্থ্য উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকের কথা থাকলেও তার বদলে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী অধ্যাপক সায়েদুর রহমানের সঙ্গে তারা বৈঠক করেন। পরদিন শিক্ষার্থীরা জানান, তারা ক্লাসে ফিরছেন না। সেদিন থেকে মেডিকেল কলেজের শিক্ষা কার্যক্রম এবং হোস্টেলগুলো বন্ধ ছিল। শিক্ষার্থীদের পাঁচ দফা দাবির মধ্যে ছিল- নতুন ছাত্রাবাস ও ছাত্রীনিবাস নির্মাণের জন্য দ্রুত বাজেট পাস করতে হবে। ছাত্রাবাস নির্মাণ শেষ না হওয়া পর্যন্ত বিকল্প আবাসনের ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। নতুন একাডেমিক ভবনের জন্য আলাদা বাজেট পাস করতে হবে। আবাসন ও অ্যাকাডেমিক ভবনের বাজেট পৃথকভাবে অনুমোদন করতে হবে ও দ্রুত বাস্তবায়ন করতে হবে। সব প্রকল্প ও কার্যক্রমের অগ্রগতি শিক্ষার্থীদের সামনে স্বচ্ছভাবে উপস্থাপনের জন্য শিক্ষার্থী প্রতিনিধি ঠিক করতে হবে।