বগুড়ার সারিয়াকান্দি থেকে জামালপুরের মাদারগঞ্জ পর্যন্ত যমুনার নৌপথে ফেরি সেবা অবশেষে আলোর মুখ দেখছে। সারিয়াকান্দির কালিতলায় শুরু হয়েছে নৌ-বন্দর স্থাপনের প্রাথমিক কাজ। ১৩ জুলাই বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান কমডোর আরিফ আহমেদ মোস্তাফা (জি) বন্দরটি পরিদর্শন করেন। এখন শুধু ফেরির হুইসলের অপেক্ষায় যমুনা পাড়ের মানুষ।
জানা গেছে, নদীপথে যোগাযোগ ও ব্যবসা-বাণিজ্য বৃদ্ধির জন্য কালিতলা এলাকায় সারিয়াকান্দি-মাদারগঞ্জ নৌ-বন্দর স্থাপনের জন্য বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ বরাবর প্রস্তাব দেয় বগুড়া জেলা প্রশাসন। অবশেষে বন্দরের কাজ শুরু হয়েছে। এটি হবে দেশের ৫৪তম নদীবন্দর। বন্দরটি চালু হলে দেশের অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। উত্তর জনপদের মানুষ কম সময়ে রাজধানীসহ ময়মনসিংহ, জামালপুর, কিশোরগঞ্জ, নেত্রকোনা, শেরপুরে পৌঁছাতে পারবেন। এসব বিষয়ে যৌক্তিকতা তুলে ধরে ঊর্ধ্বতন মহলে প্রস্তাব পাঠানো হয়। এরপর সম্ভাব্যতা যাচাই করে কয়েক দফা জরিপ করা হয়। একপর্যায়ে বগুড়া অংশের সারিয়াকান্দি থেকে বগুড়া পর্যন্ত ২২ কিলোমিটার সড়ক আঞ্চলিক সড়কের লক্ষ্যে চওড়া করা হয়।
অন্য প্রান্তে জামালপুরের মাদারগঞ্জ থেকে জামতৈল পর্যন্ত ১১ কিলোমিটার নতুন চওড়া পাকা সড়ক নির্মিত হয়। ঘাট ও বন্দর চালুকে সামনে রেখে ২০০৬ সালে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ সারিয়াকান্দির কালিতলা ও মাদারগঞ্জ ঘাটে এসটি খিজির পন্টুন স্থাপন করে। পরবর্তীতে প্রকল্পটি মুখ থুবড়ে পড়ে। এতে উত্তরের লাখ লাখ মানুষের নৌপথে যাতায়াতের স্বপ্ন ভেঙে যায়।
যমুনা পাড়ের কয়েকজন জানান, কালিতলা ঘাটে নদীবন্দর হলে দেশের অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। এই অঞ্চলের কৃষকরা অল্প খরচে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে তাদের পণ্য পাঠাতে পারবেন। পরিবহন খরচ কম পড়বে। বর্তমানে এই ঘাট থেকে জামালপুরসহ বিভিন্ন স্থানে নৌকা চলাচল করে।
বগুড়া জেলা প্রশাসক হোসনা আফরোজা গণমাধ্যমকে জানান, সারিয়াকান্দিতে নদীবন্দর করা হলে এই অঞ্চলের আর্থসামাজিক পরিবর্তন ও অনেক লোকের কর্মসংস্থান হবে।