নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কোনো প্রকার অনুমোদন না থাকায় রূপগঞ্জে পাঁচটি আবাসন প্রকল্পে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেছে প্রশাসন। এ সময় আবাসন প্রকল্পগুলোর পাকা ভবন (অফিস) ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। আটক করা হয় ছয়জনকে। দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত উপজেলার কাঞ্চন, নলপাথর, মায়রবাড়ি ও কুসাবো এলাকায় এ উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
উচ্ছেদ অভিযানে নেতৃত্ব দেন, রূপগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুল ইসলাম। এ সময় উপস্থিত ছিলেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তরিকুল ইসলাম তাছবীর হোসেন।
রূপগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) তরিকুল ইসলাম জানান, উপজেলার কাঞ্চন, নলপাথর, মায়রবাড়ি ও কুসাবো, ভোলাবো, দাউদপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় জেলা প্রশাসকের কোনো প্রকার অনুমোদন ছাড়াই অপরিকল্পিতভাবে গড়ে উঠেছে বিভিন্ন নামের আবাসন প্রকল্প। এসব আবাসন প্রকল্প অপরিকল্পিতভাবে বালু ভরাট ও কৃষি জমি গভীর খনন করে আসছে। অনেক ভুয়া আবাসন প্রকল্প ক্রেতাদের সঙ্গে প্রতারণা করছে বলে নানা অভিযোগ রয়েছে। এর মধ্যে, ইস্ট উড সিটির বিরুদ্ধে সরকারি খাল বালু দিয়ে ভরাট করে দখল করার কারণে ৭ গ্রামের ২০ হাজার মানুষকে পানিবন্দি হয়ে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে বলে গ্রামবাসী অভিযোগ করেছেন। দখলে থাকা ওইসব সরকারি খাল উদ্ধার করা হবে। বিশেষ করে, গতকাল উচ্ছেদের প্রথম দিনে কাঞ্চন, নলপাথর, মায়রবাড়ি ও কুসাবো এলাকায় অবস্থিত রিজেন্ট টাউন, ইস্ট উড সিটি, বেস্টওয়ে সিটি, এশিয়ান ডুপ্লেক্স টাউনসহ পাঁচটি আবাসন প্রকল্পে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়। এর মধ্যে কোনো প্রকার অনুমোদন না থাকায় পূর্বাচল রিজেন্ট টাউন, ইস্ট উড সিটি ও বেস্টওয়ে সিটিকে সিলগালা করে দেওয়া হয়। এ ছাড়া এ তিনটি আবাসন প্রকল্পের পাকা ভবন (অফিস) ভেকু ও বুলডোজার দিয়ে ভেঙে দেওয়া হয়।
নানা অভিযোগে অনুমোদনবিহীন এসব আবাসন প্রকল্পে নিয়োজিত থাকা ছয়জনকে আটক করা হয়েছে। এ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও তিনি জানান।