চট্টগ্রামের হাটহাজারী থানার দক্ষিণ পাহাড়তলী এলাকায় ফখরুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। মেয়েকে তুলে নিয়ে বিয়ে করার ঘটনায় সালিশ বৈঠকে এই ঘটনা ঘটে। শুক্রবার দিনগত রাতে সন্দ্বীপ কলোনির আমতলী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত ফখরুল ইসলাম হাটহাজারী থানার দক্ষিণ পাহাড়তলী ওয়ার্ডের সন্দ্বীপ কলোনির আমতলী এলাকার ফয়জুল মাওলার ছেলে। হাটহাজারী থানার ওসি আবু কাওসার মোহাম্মদ হোসেন বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। জানা গেছে, গত ২৭ জুলাই স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে ফখরুল ইসলামের মেয়েকে একই এলাকার রিফাত ও তার সহযোগী জাহিদ, বাদল, রিপন ও আবদুর রহমান নোয়াখালীর সুবর্ণচরে তুলে নিয়ে যায়। সেখানে রিফাত তাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে বিয়ে রেজিস্ট্রিতে সই করতে বাধ্য করে। এদিকে স্কুলপড়ুয়া মেয়ে বাড়ি না ফেরায় পরিবারের লোকজন বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করেন। একপর্যায়ে মেয়ের হদিস না পেয়ে ঘটনার দিন রাতেই হাটহাজারী মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। এরপর নোয়াখালীর সুবর্ণচর থেকে মেয়েকে উদ্ধার করে পুলিশ। পরে তাকে তার পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
এ ঘটনার ছয় দিন পর শুক্রবার রাতে ছেলে ও মেয়ের পরিবারের সদস্যরা বিষয়টি সমাধানে সালিশে বসেন। সেখানে ভুক্তভোগীর কাছ থেকে ঘটনা সম্পর্কে জানার সময় উভয়পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি বাধে। একপর্যায়ে মেয়ের বাবা ফখরুল ইসলামের ওপর হামলা চালালে তিনি অজ্ঞান হয়ে যান। পরে স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।