গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেছেন, জাতীয় ঐকমত্যের সংহতিতে এখন দখলবাজি, চাঁদাবাজি ও বিভাজন দেখা দিয়েছে। এতে ফ্যাসিবাদের সুযোগ তৈরি হবে এবং সময়মতো নির্বাচন না-ও হতে পারে। সরকার গত এক বছরে কোনো ধরনের সিন্ডিকেট, চাঁদাবাজি বন্ধ করতে পারেনি, শুধু কেবল হাত বদল হয়েছে। গতকাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পৌর মুক্ত মঞ্চের মাঠে জেলা গণঅধিকার পরিষদের আয়োজনে অনুষ্ঠিত গণসমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। নূর বলেন, আমরা যে আকাক্সক্ষা নিয়ে বন্দুকের নলের সামনে দাঁড়িয়েছিলাম, তার প্রাপ্তির চেয়ে অপ্রাপ্তিই বেশি। জুলাই সনদের কোনো কার্যকর পদক্ষেপ এখনো দেখা যায়নি। সরকার যে ঘোষণাপত্র দিয়েছিল সেখানে তারা বলেছে, পরবর্তী দুই বছরে নির্বাচিত সরকার বাস্তবায়ন করবে। আমরা পরিষ্কারভাবে বলতে চাই, শুধু নির্বাচনের জন্য এ আন্দোলন হয়নি। কাউকে ক্ষমতায় বসানোর জন্য, কাউকে এমপি মন্ত্রী বানানোর জন্য এই আন্দোলন এবং সাধারণ ছাত্রজনতা জীবন দেয়নি।
তিনি আরও বলেন, জুলাই সনদ পরবর্তী সংসদ বাস্তবায়ন করবে সেটি নয় বরং জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি এই সরকারকে দিতে হবে। আগামী নির্বাচন অবশ্যই রাজনৈতিক সমঝোতা ও জাতীয় ঐক্যের ভিত্তিতে দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদ হিসেবে হতে হবে। উচ্চকক্ষে সব দলের আনুপাতিক হারে প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করতে হবে।