মাত্র ৪ কিলোমিটার সড়ক প্রশস্তকরণ কাজে কেটে গেছে ১২ বছর। ৯৯ কোটি টাকার প্রকল্প বেড়ে হয়েছে ২৫৯ কোটি টাকা। কাজ বাকি আছে এখনো ৩০ শতাংশ। বৃষ্টিতে ইটের খোয়া সরে গিয়ে বড় গর্ত তৈরি হয়েছে। জোয়ার এলে পুরো সড়ক পানিতে ডুবে থাকে। খুলনা নগরীর অন্যতম প্রবেশপথ শিপইয়ার্ড সড়কে চলাচলে এভাবে বছরের পর বছর ধরে ভোগান্তি পোহাচ্ছেন সাধারণ মানুষ। এদিকে নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ না করায় ঠিকাদার মাহাবুব ব্রাদার্সের সঙ্গে কাজের চুক্তি বাতিল করেছে খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (কেডিএ)। মাঝপথে বন্ধ হয়ে গেছে সড়ক সংস্কার, লবণচরা সেতু ও মতিয়াখালী স্লুইচগেটের নির্মাণকাজ।
জানা যায়, ২০১৩ সালে শিপইয়ার্ড সড়ক প্রশস্তকরণ ও সৌন্দর্যবর্ধন প্রকল্পটি গ্রহণ করে কেডিএ। ২০২২ সালে ২০ জানুয়ারি সড়কে প্রশস্তকরণের কাজ শুরু করে মাহাবুব ব্রাদার্স। চুক্তি অনুযায়ী, ২০২৪ সালের জুনের মধ্যে কাজ সম্পন্ন করার কথা। কিন্তু নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ না হওয়ায় প্রকল্প সংশোধন করা হয়। ব্যয় বেড়ে হয় ২৫৯ কোটি টাকা। কেডিএ’র প্রকল্প পরিচালক মো. আরমান হোসেন জানান, দীর্ঘদিন ধরে কাজ ফেলে রেখেছিল ঠিকাদার। ঠিকাদারকে দ্রুত কাজ শেষ করার নির্দেশ দিলেও তারা শোনেনি। এজন্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে ৭ আগস্ট তাদের সঙ্গে চুক্তি বাতিল করা হয়েছে। অপরদিকে শিপইয়ার্ড সড়কের কাজ দ্রুত শেষ না হলে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা) -এর নেতারা।
গতকাল সংগঠনের খুলনা মহানগর শাখার সভাপতি শেখ মো. নাসির উদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান মুন্না বিবৃতিতে জানান, দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ায় বড় বড় গর্তের কারণে যানবাহন চলাচল প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে। এক সময়ের ব্যস্ততম সড়কটিতে এখন ইজিবাইক চালকরাও চলতে চান না। বিগত সরকারের আমলে প্রকল্প মেয়াদ ও ব্যয় দফায় দফায় বাড়িয়ে করা হয়েছে লুটপাট। সড়কে দ্রুত সংস্কারের কাজ শুরু না হলে খুলনাবাসীকে সঙ্গে নিয়ে মানববন্ধন, বিক্ষোভ সমাবেশসহ নানান কর্মসূচি পালন করা হবে।