খাদ্য উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার বলেছেন, দেশে চাহিদার চেয়ে বেশি চাল উৎপাদন হলেও বাজার স্থিতিশীল রাখার স্বার্থে আমদানি করা হচ্ছে। চাল শুধু মানুষই খায় না, হাঁস-মুরগি, গরু ও মাছও চাল খায়। তাই বাজারে চাপ তৈরি হয়। দাম কিছুটা বেড়েছে বটে, তবে এখনো সহনীয় পর্যায়েই রয়েছে। সরকার প্রতি কেজি চাল উৎপাদনে ২০ থেকে ২৫ টাকা ভর্তুকি দিয়ে থাকে। গতকাল দুপুরে দিনাজপুর সার্কিট হাউসে রংপুর বিভাগীয় খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের প্রেস ব্রিফিংকালে খাদ্য উপদেষ্টা এ কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় সারা দেশে ৫৫ লাখ পরিবার মাসে ৩০ কেজি করে ছয় মাস সুবিধা পাবেন। ৫৫ লাখের মধ্যে ১০ লাখ পাবেন রংপুর বিভাগের উপকারভোগীরা। উপকারভোগীরা যেন সুষ্ঠুভাবে চাল পান এ জন্য জেলা প্রশাসন এবং জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক, উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা সুষ্ঠুভাবে বিতরণের ব্যবস্থা নেবেন। রংপুর বিভাগে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিসহ চালের বাজার স্থিতিশীল রাখার লক্ষ্য নিয়ে আট জেলার জেলা প্রশাসক ও জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকদের সঙ্গে কথা বলেছি। খাদ্যভান্ডার হিসেবে পরিচিত এ অঞ্চলে এবারও সরকারের সংগ্রহ অভিযান শতভাগ সফলভাবে সম্পূর্ণ করেছে। সভায় রংপুর বিভাগীয় কমিশনার মো. শহিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. আবুল হাছনাত হুমায়ুন কবীর। এ ছাড়া উপস্থিত ছিলেন রংপুর বিভাগের আট জেলার জেলা প্রশাসক, আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক ও জেলা খাদ্য কর্মকর্তারা।