বাংলাদেশ প্লাস্টিক দ্রব্য প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিপিজিএমইএ) সভাপতি সামিম আহমেদ বলেছেন, এলডিসি উত্তরণের পর প্লাস্টিকসহ অন্যান্য স্থানীয় শিল্পে সুরক্ষা প্রয়োজন। শিল্পে সুরক্ষা না পেলে ব্যবসাবাণিজ্যে আমরা টিকতে পারব না।
গতকাল রাজধানীর একটি হোটেলে বাংলাদেশ প্লাস্টিক দ্রব্য প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিপিজিএমইএ) আয়োজিত ‘অর্থনীতিতে প্লাস্টিক খাতের অবদান’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। এ সময় অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি বাণিজ্য সচিব মাহবুবুর রহমান, বিশেষ অতিথি এসএমই ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মো মুসফিকুর রহমান উপস্থিত ছিলেন। বিপিজিএমইএ সভাপতি বলেন, প্লাস্টিক এখন অত্যাবশ্যকীয় পণ্য হিসেবে পরিণত হয়েছে। একটা পাউরুটি আগে একদিনে নষ্ট হয়ে যেত। এখন প্লাস্টিক প্যাকেজিংয়ের কারণে পাঁচ দিন পর্যন্ত ঠিক থাকে। তাই প্লাস্টিক প্যাকেজিং ছাড়া খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যাবে না। এ খাতের সঙ্গে প্রায় ৩০টি উপ-খাত জড়িত রয়েছে। যেখানে প্রায় ৫০ থেকে ৬০ হাজার কোটি টাকার বাজার তৈরি হয়েছে। বাণিজ্য সচিব মাহবুবুর রহমান বলেন, আমরা হয়তো নগদ সহায়তা দিতে পারব না। শুল্ক সহায়তাও বেশি দিন দেওয়া যাবে না। তবে বিকল্প কী ধরনের সুযোগসুবিধা দেওয়া যায়, সে বিষয় নিয়ে ভাবছি।
নতুন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র বা ডিজাইনের ক্ষেত্রে উন্নতির জন্য আমরা সহায়তা করতে পারব। এ ক্ষেত্রে প্রশিক্ষণ কেন্দ্র করতে চাইলে আমরা ও উন্নয়ন সহযোগীরা আপনাদের পাশে থাকব। চীন বাংলাদেশের প্লাস্টিক খাতে ডাম্পিং করছে-এমন অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, চীনের ওপর যতই নির্ভরতা থাকুক, যদি চীন এমনটা করে থাকে, আমরা অবশ্যই অ্যান্টিডাম্পিং শুল্ক আরোপ করব। ডাম্পিংয়ের কারণে যদি কেউ ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে থাকেন, সেই তথ্যপ্রমাণ আমাদের কাছে উপস্থাপন করুন। সঠিক তথ্যপ্রমাণ থাকলে আমরা পাল্টা ব্যবস্থা নিতে পারব। এর আগে সুতার ক্ষেত্রে আমরা শুনেছি, এখন প্লাস্টিকের ক্ষেত্রে শুনলাম, আমরা আপনাদের পাশে আছি।
এর আগে আলোচনায় অংশ নিয়ে মেঘনা গ্রুপের জেনারেল ম্যানেজার মনিরুল ইসলাম বলেন, চীন আগে ভারতে পিভিসি ও পিইটি প্লাস্টিক রপ্তানি করত। কিন্তু সেখানে আর রপ্তানি করতে পারছে না। এখন তারা বাংলাদেশে প্লাস্টিক ডাম্পিং করছে। তাই আমাদের সহযোগিতা করা না হলে আমরা সামনে এগোতে পারব না।