ডোমার ও ডিমলা উপজেলাসহ একটি পৌরসভা নিয়ে গঠিত নীলফামারী-১ আসন। এ আসনে বিএনপির একক প্রার্থী হলেন জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি, সাবেক সংসদ সদস্য ও বেগম খালেদা জিয়ায় ভাগনে ইঞ্জিনিয়ার শাহরিন ইসলাম চৌধুরী তুহিন। এ ছাড়া নির্বাচনের জন্য জামায়াতের প্রার্থী মনোনীত হয়েছেন দলটির জেলা আমির অধ্যক্ষ আবদুস সাত্তার, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের কেন্দ্রীয় মহাসচিব মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী এবং ইসলামী আন্দোলন ডোমার উপজেলা শাখার সভাপতি মাওলানা আবদুল জলিল।
আসনটি আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির আসন বলে পরিচিত। তবে এবার দল দুটির অনুপস্থিতিতে আসনটি নিজ দখলে নিতে লড়ছে বিএনপি ও জামায়াত। ধারণা পাওয়া গেছে, আসনটিতে এ দুই দলের ভোটার প্রায় সমান সমান। সে কারণে উভয় দলই নিজ নিজ পক্ষের জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী। পর্যবেক্ষকদের ভাষ্য অনুযায়ী, বিগত দিনের ২০ দলীয় জোট ও জোটগত নির্বাচনের বাইরে এবার কঠিন পরীক্ষায় উপনীত হতে হবে বিএনপি ও জামায়াতকে। এখানে আরও কিছু সমীকরণ রয়েছে। যেমন নির্বাচনকে সামনে রেখে ভোটের মাঠ গোছাচ্ছে বিএনপি-জামায়াত ছাড়াও জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম, ইসলামী আন্দোলনসহ অন্য দলগুলোও।
উল্লেখ্য, এ আসনে এক সময় বিএনপির প্রার্থীসংকট ছিল। দলটি ছিল সাংগঠনিকভাবে দুর্বলও। ফলে সংকট দূর করতে ১৯৯৬-এর নির্বাচনে আসনটিতে প্রার্থী হন বেগম খালেদা জিয়ার ভাগনে ইঞ্জিনিয়ার শাহরিন ইসলাম চৌধুরী তুহিন। সে নির্বাচনে তিনি বিজয় লাভ করে বিএনপির ভাবমূর্তি চাঙা করেন। সেই হিসেবে এবারও তিনি সবার নজরে রয়েছেন। তাছাড়া বড় দল হিসেবে বিএনপির জাতীয় প্রভাবও এখানকার নির্বাচনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।