পোষ্য কোটায় উপাচার্যের মেয়েসহ তিনজন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছেন। এ ছাড়া বিভিন্ন কোটায় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছেন ২১ জন শিক্ষার্থী। এনিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে চলছে নানা সমালোচনা।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় ৩২ হাজার সিরিয়াল ছিল উপাচার্য ড. মোহাম্মদ তৌফিক আলমের মেয়ের। তিনি ৪০ নম্বর পেয়ে পোষ্য কোটায় প্রথমে বিজ্ঞান অনুষদের একটি বিভাগে ভর্তির সুযোগ পান। পরে মাইগ্রেশনের মাধ্যমে জীববিজ্ঞান অনুষদের একটি বিভাগে ভর্তি হয়েছেন। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টোর কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসানের ছেলে এবং ইলেকট্রিশিয়ান আরিফ হোসেন সুমনের ছেলে পোষ্য কোটায় ভর্তি হয়েছেন। তাদের প্রাপ্ত নম্বর যথাক্রমে ৫৩.৫০ এবং ৩৯.৫০। এই তিনজনই জীববিজ্ঞান অনুষদে সুযোগ পেয়েছেন। এ বছর এই বিভাগে মেধাতালিকায় সর্বশেষ ৫০৩৫ সিরিয়াল পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন। এ ছাড়া চলতি বছর বিশ্ববিদ্যালয়ে অন্যান্য কোটায় ভর্তি হওয়া ১৮ জনের মধ্যে ‘এ’ ইউনিটে প্রতিবন্ধী কোটায় তিনজন, হরিজন ও দলিত কোটায় একজন। ‘বি’ ইউনিটে মুক্তিযোদ্ধা (সন্তান) কোটায় চারজন, প্রতিবন্ধী দুজন, হরিজন ও দলিত একজন, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী একজন। ‘সি’ ইউনিটে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী দুজন, বিকেএসপি একজন, মুক্তিযোদ্ধা একজন, হরিজন ও দলিত একজন ও প্রতিবন্ধী একজন। এ বিষয়ে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি টেকনিক্যাল কমিটির সদস্য সহযোগী অধ্যাপক ড. রাহাত হোসাইন ফয়সাল বলেন, নিয়ম মেনেই কোটায় সবাইকে ভর্তি করা হয়েছে। গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার নিয়ম অনুযায়ী, ৩০ নম্বর হলো পাস মার্ক, যা অতিক্রম করলেই কোটা ব্যবহারের সুযোগ পাওয়া যায়। উপাচার্যের মেয়ে হিসেবে তাকে কোনো বাড়তি সুবিধা দেওয়া হয়নি।