রংপুর অঞ্চলে আগাম আমন ধান কাটা মাড়াই শুরু হয়েছে। ধানের দামও ভালো। সেই সঙ্গে ধানের খড়েরও চাহিদা বেড়েছে। খড়ের ভালো দাম পেয়ে কৃষক খুশি। রংপুরের কাউনিয়া উপজেলার বাজারে গিয়ে দেখা গেছে, পুরাতন ২০ আঁটির বোঝা ২২০-২১০ বিক্রি হচ্ছে। নতুন ২০টি আঁটি বিক্রি হচ্ছে ১৯০ থেকে ২০০ টাকা। বিক্রেতা আল আমি জানালেন নতুন ধানের সঙ্গে সঙ্গে খড়ের দাম ভালো পাওয়ায় তিনি খুশি। ক্রেতা রানা মিয়া বলেন, গোখাদ্যের দাম যেভাবে বেড়েছে এ অবস্থায় খড়ই গরুর জন্য উত্তম খাদ্য। তবে দাম একটু বেশি হওয়ায় গবাদি পশুর খাদ্য জোগান দিতে খরচ বাড়ছে। কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এক দোন জমিতে (২৪ শতক) খড় পাওয়া যাচ্ছে ৫০০ থেকে ৬০০ আঁটি।
অন্যদিকে চলতি মৌসুমে রংপুর, কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট, গাইবান্ধা ও নীলফামারী জেলায় বিনা-৭ ব্রি-৩৩,৩৯,৫৬,৫৭ও ৬২, ৭১.৭৫,৮৭, ১০৩ সহ হাইব্রিড ধান উৎপাদন হয়েছে এক লাখ হেক্টরের ওপরে।
১২০ দিনের মধ্যে এসব ধান ঘরে তোলা যায়। বলা চলে, এ অঞ্চলে এখন আগাম ধান কাটা মাড়াইয়ের পুরো মৌসুম চলছে। ফলন হয়েছে প্রতি হেক্টরে গড়ে প্রায় ৪ মেট্রিক টন। এই পরিমাণ জমি থেকে ৪ লাখ মেট্রিক টনের বেশি ধান উৎপাদনের আশা করা হচ্ছে। এ অঞ্চলের পাঁচ জেলায় সোয়া ৬ লাখ হেক্টর জমিতে আমন আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। এর মধ্যে আগাম ধান রয়েছে এক লাখ হেক্টরের ওপরে। বাজাওে প্রতি মণ ধান বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৪০০ টাকা পর্যন্ত।
কাউনিয়া উপজেলার কৃষক আসাদুজ্জামান আসাদসহ অনেকেই জানালেন এক হাজার খড় বিক্রি করছি ৭ থেকে ৮ হাজার টাকা। খড়ের দাম ভালো হওয়ায় তারা আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন।
কয়েক বছর আগেও আগাম জাতের ধান চাষের কথা চিন্তা করা যেত না। কিন্তু কয়েক বছর থেকে আগাম ধান চাষ করে তারা অভাব ঘুচিয়েছেন।
রংপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক সিরাজুল ইসলাম বলেন, আগাম জাতের ধান এই অঞ্চলের অর্থনীতিকে গতিশীল রেখেছে। প্রতি বছরই এ ধান চাষ বাড়ছে। এবারে ধানের সঙ্গে কৃষক খড়ের বেশি দাম পাচ্ছেন।