বাংলাদেশে করোনাভাইরাসে তিনজন রোগী আক্রান্ত হওয়ার ঘোষণার পর সারাদেশের ন্যায় কুমিল্লার বৃহত্তর লাকসামেও আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। এ আতঙ্কের মাঝে অতি উৎসাহী কিছু লোক ছড়াচ্ছে নানা গুজব। ফার্মেসিগুলোতে দফায় দফায় বাড়ছে মাস্কের দাম। তবে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা বারবার করে জানিয়েছেন, করোনা আতঙ্কে অযথা মাস্ক পরে ঘুরে বেড়ানোর প্রয়োজন নেই। মাস্ক পরবেন শুধু রোগী ও তার চিকিৎসায় নিয়োজিত কর্তব্যরত চিকিৎসক।
গত রবিবার সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইন্সটিটিউট (আইইডিসিআর) বাংলাদেশের তিনজন করোনা রোগী সনাক্তের বিষয়টি নিশ্চিত করে।
সারাদেশের ন্যায় বৃহত্তর লাকসামে (লাকসাম, মনোহরগঞ্জ, নাঙ্গলকোট) এখন আলোচনার বিষয়বস্তু ‘করোনাভাইরাস’। করোনা নিয়ে একদিকে জনমনে আতঙ্ক অন্যদিকে অতিউৎসাহী কিছু মানুষ ছড়িয়ে দিচ্ছেন নানা গুজব। লাকসাম, মনোহরগঞ্জ ও নাঙ্গলকোটের বিভিন্ন বাজারের ফার্মেসী ও দোকানগুলোতে বিপুল পরিমাণে মাস্ক বিক্রি হচ্ছে। ৫, ১০, ২০ টাকার মাস্ক ৩০, ৪০, ১০০ টাকা হারে বিক্রি হচ্ছে। এ নিয়ে অনেক ক্রেতা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
লাকসাম উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ আবদুল আলী জানান, করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্ক নয়। এ রোগের উপসর্গ তথা জ্বর, গলাব্যাথা, শুকনো কাশি, শ্বাসকষ্ট, শ্বাসকষ্টের সঙ্গে কাশি দেখা দিলে চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করতে হবে। যারা বিদেশ থেকে আসবেন তাদেরকে ১৪ দিন আলাদা কক্ষে থাকতে হবে। লাকসাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে করোনা রোগীদের চিকিৎসা দেয়ার জন্য ওয়ার্ড প্রস্তুত রাখা হয়েছে। কারো মধ্যে উপসর্গ দেখা দিলে সাথে সাথে হাসপাতালে নিয়ে আসতে তিনি অনুরোধ জানান।
লাকসাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ.কে.এম সাইফুল আলম বলেন, করোনাভাইরাসের বিষয়ে কেউ যাতে গুজব ছড়াতে না পারে এজন্য সকলকে সতর্ক থাকতে হবে। নির্ধারিত দামে মাস্ক বিক্রির বিষয়টি নিশ্চিত করতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে অভিযান চালানো হবে।
বিডি প্রতিদিন/ফারজানা