চট্টগ্রাম শাহ আমানত বিমানবন্দরে স্থাপন করা নতুন থার্মাল ইমেজ ডিটেকশন স্ক্যানার করোনা প্রতিরোধেও কাজে আসবে। মঙ্গলবার নতুন স্থাপন করা এই থার্মাল স্ক্যানারের কারণে আন্তর্জাতিক ফ্লাইটে আসা যাত্রীরা এ স্ক্যানারের ক্যামেরার সামনে দিয়ে হেঁটে গেলেই জ্বর আছে কিনা তা সহজেই শনাক্ত করা যাবে।
মঙ্গলবার সকালে উড়োজাহাজে নতুন ২টি স্ক্যানার শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছে। এরপর বিমানবন্দরের জন্য বরাদ্দ দেওয়া নতুন স্ক্যানারটি সচল করার কাজ শুরু করে কারিগরি টিম। তাছাড়া চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরের জন্য পাঠানো থার্মাল স্ক্যানারটি পুনরায় ঢাকা নিয়ে যাওয়া হয়। এর আগে করোনা প্রতিরোধে এতোদিন ইনফ্রারেড হ্যান্ডহেল্ড থার্মোমিটার দিয়ে জ্বর মাপা হয়েছিলো।
শাহ আমানত বিমানবন্দর ও চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দরের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মোতাহার হোসেন বলেন, নতুন থার্মাল স্ক্যানারটি ফিটিংসের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। বিদেশ থেকে আসা যাত্রীদের থার্মাল স্ক্যানারেই করোনার লক্ষণ আছে কিনা দেখা হচ্ছে।
শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ব্যবস্থাপক উইং কমান্ডার এবিএম সারওয়ার-ই-জামান বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, বিকাল ৩টার দিকে নতুন থার্মাল ইমেজ ডিটেকশন স্ক্যানার বসানো হয়েছে। এতে আন্তর্জাতিক রুটের যাত্রীদের জ্বর আছে কিনা পরীক্ষা করা হচ্ছে। এটি চালু হওয়াতে হ্যান্ডহেল্ড থার্মোমিটারে স্ক্যানারে যাত্রীদের যে সময় লাগতো তা সাশ্রয় হবে। তবে এটি স্থাপনের পরেই ইউএস বাংলা বিমানের যাত্রীদের স্ক্যানার করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
বিমানবন্দর ও নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে দেশি-বিদেশি ফ্লাইটে প্রতিদিন গড়ে সাড়ে ৪ হাজার আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ রুটের যাত্রী চলাচল করে থাকে। এর মধ্যে আন্তর্জাতিক যাত্রী প্রায় দেড় হাজারের মতো। যদিও শাহ আমানতে চীন থেকে সরাসরি কোনো ফ্লাইট আসে না। তবে চীনের অনেক যাত্রী দুবাই, আবুধাবি, দোহা, মাসকাট ও ভারত হয়ে চট্টগ্রামে আসেন।
অন্যদিকে, চট্টগ্রামকে ঘিরে বড় বড় অনেকগুলো প্রকল্পে রয়েছে চীনা নাগরিক। তারা উক্ত দেশগুলোতে ট্রানজিট বা ফ্লাইট পরিবর্তন করে যাতায়াত করেন। চট্টগ্রামের বিমান বন্দর দিয়ে ৯ মার্চ পর্যন্ত ৪১ হাজার ৬৩১ জন আন্তর্জাতিক রুটের যাত্রীর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে। এছাড়া সমুদ্র বন্দর দিয়ে ৪ হাজার ৪৩৫ যাত্রীর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এনায়েত করিম