ক্রমেই বাড়ছে (কোভিড -১৯) করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। এর প্রভাব বিস্তার ঠেকাতে সোমবার থেকে পর্তুগালে প্রাথমিক জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে দেশটির সরকার। রবিবার পর্যন্ত এই রোগের সংক্রমণের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৪৫।
পর্তুগালের স্বাস্থ্য অধিদপ্তর-জেনারেল ফর হেলথের (ডিজিএস) মতে, রবিবার ২২৭২ জন সন্দেহভাজনসহ ৪৫৯২ জনকে পর্তুগাল বিভিন্ন হাসপাতালে কোয়ারেন্টাইনে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা দিন দিন বাড়ার সাথে সাথে দেশটির জনসাধারণের মাঝে বাড়ছে কোভিড -১৯ এর আতঙ্ক।
এদিকে রবিবার পর্তুগালের প্রধানমন্ত্রী আন্তোনিও কস্তা জাতির উদ্দেশ্যে দেওয়া এক বিবৃতিতে ঘোষণা দেন, রবিবার থেকে স্পেনের সাথে পর্তুগালের বর্ডারে বিশেষ নজরদারি এবং নিয়ন্ত্রণ করবে পর্তুগালের বর্ডার গার্ড (জিএনআর), ইমিগ্রেশন পুলিশ (সেপ) এবং ডিজিএস এর গার্ডের তিন স্তরের পুলিশ। প্রাথমিক জরুরি অবস্থা ঘোষণার পর সোমবার থেকে পর্তুগালের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম, উত্তরাঞ্চলের জেলা সমূহের সকল প্রকার জিম, গ্রন্থাগার, সিনেমা হল, মার্কেট সমূহ বন্ধসহ পর্যটন ও অবকাশের উদ্দেশ্যে আসা সকল পর্যটকের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি থাকবে। সেই সাথে সোমবার ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং স্পেন সরকারের সাথে আলোচনার পর পর্তুগালের প্রধানমন্ত্রী আন্তোনিও কস্তা পর্তুগালের সাথে বহিঃ বিশ্বের সাথে বিমানবন্দর এবং সমুদ্রের সমস্ত সীমানা বন্ধ করার সিদ্ধান্তের ঘোষণা দিবেন।
করোনাভাইরাসে প্রভাবে পর্তুগালের লিসবন, পোর্তো, আলগ্রাভের বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যেও আতঙ্ক লক্ষ্য করা গেছে। ১৩ মার্চ পর্তুগালের স্বাস্থ্য অধিদপ্তর-জেনারেল ফর হেলথ (ডিজিএস) বাংলা ভাষায় পর্তুগালে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশি ভাই-বোনদের জন্য করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে বিশেষ সতর্কতা ও পরামর্শ মূলক পোস্টার ও লিফলেট প্রচার করেছে।
বিডি প্রতিদিন/ ওয়াসিফ