গণপরিবহন বন্ধ থাকার ঘোষণা হলেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে ময়মনসিংহে এখনো বিচ্ছিন্নভাবে ইঞ্জিনচালিত ও ব্যাটারিচালিত গণপরিবহন চলছে। এছাড়াও কাঁচা বাজারগুলোতেও নেই জনদূরত্ব। এমনকি বাজারে আশা ক্রেতা-বিক্রেতাদের অধিকাংশরাই কোভিড-১৯ বা করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে ব্যবহার করছে না নিরাপত্তা সামগ্রী।
বৃহস্পতিবার সকাল ১১টার দিকে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের দিঘারকান্দা বাইপাস এলাকায় গিয়ে দেখা যায় ঢাকা থেকে ছেড়ে কয়েকটি যাত্রীবাহী বাস ময়মনসিংহে এসেছে। এছাড়াও পিকআপ, ত্রি-হুইলার, সিএনজি ও মাহেন্দ্র এবং ব্যাটারিচালিত ইজিবাইকে চেপে গাদাগাদি করে যাতায়াত করছে সাধারণ মানুষ। তবে রেলস্টেশনসহ নগরীর ব্যস্ততম সড়কগুলো জনশূন্য হয়ে পড়েছে। চা স্টলসহ দোকানপাট ও মার্কেট বন্ধ রয়েছে।
অপরদিকে মাস্ক পড়া ছাড়া কেউ রাস্তায় বের হলেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা তাদেরকে কান ধরে উঠবস ও সাবধান করছে। নগরীতে সেনাবাহিনীর টহল অব্যাহত রয়েছে। আর নিয়মিতভাবে ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের চারটি জীবাণুনাশক পানিবাহী গাড়ি সড়ক এবং ফুটপাত পরিষ্কার করছে।
জানতে চাইলে পুলিশ সুপার আহমার উজ্জামান বলেন, আমরা জনদূরত্ব বজায় রাখার জন্য কাজ করছি। তবে অনিয়ম হলে পুলিশ এখন থেকে অ্যাকশানে যাবে।এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় ময়মনসিংহে নতুন করে বিদেশ ফেরত ৩৭ জনসহ মোট ৭০০ জন প্রবাসীকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। বৃহস্পতিবার আরও ৪৭ জনকে ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/শফিক