কভিড-১৯ করোনাভাইরাসের সংক্রমণ এড়াতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার ১০৫ কিলোমিটারের অধিকাংশ রেস্তোরাঁ বন্ধ রয়েছে। এতে বিপাকে পড়েছেন ট্রাক, কাভার্ডভ্যান ও অন্যান্য পরিবহনের চালকরা।
সূত্র মতে, মহাসড়কের কুমিল্লা অংশে ছোট বড় শতাধিক রেস্তোরাঁ রয়েছে। অধিকাংশ রেস্তোরাঁই বন্ধ রয়েছে। মহাসড়কের আমতলী এলাকার মাতৃভান্ডার রেস্টুরেন্টের পরিচালক আমির হোসেন বাবুল বলেন, করোনার ভয়ে স্টাফ থাকতে চায় না। তবে স্বল্প পরিসরে চালু রাখার চেষ্টা করলেও পুলিশ এসে বন্ধ করতে বলেছে।
কুমিল্লা পদুয়ার বাজারের ছন্দু রেস্টুরেন্টের পরিচালক ইকবাল হোসেন বলেন, প্রথমে প্রশাসন বন্ধ করতে বলেছিল। পরে অবশ্য পার্সেল সার্ভিস চালুর কথা বলেছে। ভয়ে স্টাফ আসছে না। চেষ্টা করছি তেহারী জাতীয় খাবার পার্সেল করার।
কুমিল্লা ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যান শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক তাজুল ইসলাম বলেন, অনেক চালক খাবার সঙ্কটে গাড়ি চালাতে চাচ্ছে না। আমরা এ নিয়ে প্রশাসনকে জানিয়েছি। বলেছি, গুরুত্বপূর্ণ স্থানে দুই তিনটা রেস্টুরেন্ট খোলা রাখতে।
কুমিল্লা রেস্তারাঁ মালিক সমিতির সভাপতি এম মুকিত টিপু বলেন, প্রশাসন অভয় দিলে কয়েকটা রেস্টুরেন্ট চালু করা যাবে। এদিকে ভয়ও আছে, কোন স্টাফ করোনাভাইরাস আক্রান্ত হয়ে গেলে এর দায়ভার কে নেবে?
হাইওয়ে পুলিশ কুমিল্লার পুলিশ সুপার মো. নজরুল ইসলাম বলেন, চৌদ্দগ্রামের বাবুর্চি বাজারে কিছু রেস্টুরেন্ট চালু রয়েছে। আরও দুই তিনটি চালুর ব্যবস্থা করা হবে।
বিডি প্রতিদিন/ফারজানা