শিরোনাম
- নারী ক্রিকেটারদের নিয়ে লিঙ্গ সংবেদনশীলতা কর্মশালা
- একজন নয়, প্রতি ভোটকেন্দ্রে পাঁচজন সেনাসদস্য চায় জামায়াত
- গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে হবে : ফখরুল
- দেশজুড়ে মোবাইল ফোন বিক্রির সব দোকান বন্ধের ঘোষণা
- নির্বাচন কমিশনকে দৃষ্টান্তমূলক ভূমিকা রাখার আহ্বান জোনায়েদ সাকির
- মার্কিন ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে রাশিয়ায় কয়েক দফা হামলা ইউক্রেনের
- সাংবাদিক সোহেলকে ডিবি তুলে নেওয়ার বিষয়ে যা বলল টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়
- গণঅভ্যুত্থানে অংশীজনদের নিয়ে আসন সমঝোতার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি: নুর
- পল্লবীতে যুবদল নেতা হত্যা, দুই শীর্ষ সন্ত্রাসী গ্রেফতার
- নারীদের পেছনে রেখে পুরুষরা এগিয়ে যেতে পারবে না : ধর্ম উপদেষ্টা
- রমজানের আগে ছোলা-খেজুরসহ ছয় ভোগ্যপণ্যের আমদানি বেড়েছে
- শেখ হাসিনাকে কেন ফেরত দেবে না ভারত, আল–জাজিরার বিশ্লেষণ
- অক্টোবরে সড়কে ঝরেছে ৪৪১ প্রাণ : রোড সেফটি ফাউন্ডেশন
- জনগণের ভাগ্য উন্নয়নে কাজ করতে হবে: শামা ওবায়েদ
- ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনে ডিএমপির ১৭৪৪ মামলা
- বিজয় দিবসে এবারও প্যারেড হবে না : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
- শ্রীপুরে যুবদল নেতার ঝুট গুদামে আগুন
- লটারির মাধ্যমে ডিসি-এসপি বদলির দাবি গোলাম পরওয়ারের
- সাংবাদিক ও প্রশাসন একে অপরের পরিপূরক: মুন্সীগঞ্জ ডিসি
- টাঙ্গাইলে বিএফআরআই উদ্ভাবিত প্রযুক্তি পরিচিতি বিষয়ক কর্মশালা
মানুষকে ঘরে রাখতে রাজশাহীতে আরও কঠোর হল প্রশাসন
নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী:
অনলাইন ভার্সন
করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে মানুষকে ঘরে রাখতে আরও কঠোর হলো রাজশাহীর প্রশাসন। করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় সোমবার সকালে রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক সভায় এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হয়। সভায় রাজশাহী-২ (সদর) আসনের এমপি ফজলে হোসেন বাদশা এবং সিটি মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনও উপস্থিত ছিলেন। সভাপতিত্ব করেন বিভাগীয় কমিশনার হুমায়ুন কবীর খোন্দকার।
সভায় রাজশাহী বিভাগের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়। এ বিভাগে করোনাভাইরাস সংক্রমিত কোভিড-১৯ রোগের রোগি শনাক্ত হলে কী কী করণীয় সে ব্যাপারে বিস্তারিত আলোচনা হয়। এছাড়া পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত মানুষকে ঘরে রাখতে প্রশাসনের কঠোর হওয়া এবং সড়কে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করার ব্যাপারে বিস্তারিত আলোচনা হয়।
সভায় পুলিশের রাজশাহী রেঞ্জের উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) একেএম হাফিজ আক্তার, বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. গোপেন্দ্রনাথ আচার্য্য, রাজশাহীর জেলা প্রশাসক হামিদুল হক, রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল জামিলুর রহমান, রাজশাহীর সিভিল সার্জন ডা. এনামুল হকসহ অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
সভা শেষে বিভাগীয় কমিশনার হুমায়ুন কবীর খোন্দকার বলেন, রাজশাহী বিভাগে এখনও করোনা আক্রান্ত রোগি শনাক্ত হয়নি। তবে শনাক্ত হলে কীভাবে রোগটি মোকাবিলা করা যাবে সে বিষয়ে সভায় আলোচনা হয়। তিনি বলেন, রাজশাহীতে জেনারেল হাসপাতাল নেই। তাই মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, দুটি বেসরকারি হাসপাতাল এবং তিনটি স্টেডিয়ামকেই প্রস্তুত রাখার ব্যাপারে সবাই সহমত প্রকাশ করেছেন।
এছাড়া আইনের প্রয়োগ করে মানুষকে আপাতত বাড়িতে রাখার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে। অতিব জরুরি ছাড়া কেউ বাড়ি থেকে বের হতে পারবেন না। প্রশাসন এ বিষয়টি নিশ্চিত করবে। সড়কে জরুরি কাজে নিয়োজিত এবং পণ্য পরিবহনকারী গাড়ি ছাড়া অন্য যানবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হবে।
এদিকে সভা শেষেই এসব নির্দেশনা বাস্তবায়নে পুলিশ ও প্রশাসনের কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। রাজশাহী লকডাউনের ঘোষণা দেওয়া না হলেও পরিস্থিতি অনেকটা তেমনই। শুধু ওষুধের দোকান ছাড়া অন্য কোনো দোকান খোলা যাবে না বলেও মাইকিং করা হচ্ছে। রাজশাহী শহরে প্রবেশের আগের কয়েকটি মোড়ে মোড়ে অবস্থান নিয়েছে পুলিশ। রাস্তায় বসানো হয়েছে ব্যারিকেড। এভাবে মানুষের চলাচল নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা চলছে। এছাড়া জনসমাগম ঠেকাতে জেলা প্রশাসনের সঙ্গে কাজ করছেন সেনা বাহিনীর সদস্যরাও।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার
এই বিভাগের আরও খবর