শিরোনাম
- ভোটের মার্কা শাপলা নয়, ইসির নীতিগত সিদ্ধান্ত
- ১৮ জুলাই বিনামূল্যে ১ জিবি ইন্টারনেট পাবেন গ্রাহকরা
- ৫ অতিরিক্ত ডিআইজিসহ পুলিশের ১৬ কর্মকর্তাকে বদলি
- ফরিদা পারভীনকে দেখতে হাসপাতালে মির্জা ফখরুল
- চট্টগ্রাম বন্দরের নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল পরিদর্শন করলেন নৌবাহিনী প্রধান
- বরিশাল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের শিক্ষার্থীদের মহাসড়ক অবরোধ
- উন্নয়নের নামে প্রতারণা করে ক্ষমতায় ছিল স্বৈরাচারী সরকার : রিজভী
- হাসিনার কল রেকর্ড ফাঁস : ‘এটা ট্রেলার মাত্র, অনেক কিছু এখনো বাকি’
- নাটোরে সেনা অভিযানে কিশোর গ্যাংয়ের ১২ সদস্য গ্রেপ্তার
- ভিডিও ছড়ানোর ‘মূলহোতা’ শাহ পরান পাঁচদিনের রিমান্ডে
- র্যাগিংয়ের নামে জুনিয়রদের যৌন হেনস্তার অভিযোগে ৭ ইসরায়েলি সেনা আটক
- চট্টগ্রামে টানা বর্ষণে নিম্নাঞ্চলে জলাবদ্ধতা
- জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে লক্ষ্মীপুরে ১৫ দিনের কর্মসূচি
- স্পেনের আদালতে নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের তদন্ত শুরু
- জুলাই বিরোধী শিক্ষকদের পদোন্নতির প্রতিবাদে গোবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের অবস্থান কর্মসূচি
- সিরাজগঞ্জে ‘জুলাই স্মৃতিস্তম্ভ’ নির্মাণ কাজের উদ্বোধন
- টেস্ট র্যাঙ্কিংয়ে আবারও শীর্ষে হ্যারি ব্রুক
- সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য জরুরি নির্দেশনা মাউশির
- ওয়ানডে র্যাঙ্কিংয়ে জাকেরের বড় লাফ, শান্ত-লিটনের অবনমন
- খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদের অস্থায়ী চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ শেফালিকা ত্রিপুরার
মানুষকে ঘরে রাখতে রাজশাহীতে আরও কঠোর হল প্রশাসন
নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী:
অনলাইন ভার্সন

করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে মানুষকে ঘরে রাখতে আরও কঠোর হলো রাজশাহীর প্রশাসন। করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় সোমবার সকালে রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক সভায় এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হয়। সভায় রাজশাহী-২ (সদর) আসনের এমপি ফজলে হোসেন বাদশা এবং সিটি মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনও উপস্থিত ছিলেন। সভাপতিত্ব করেন বিভাগীয় কমিশনার হুমায়ুন কবীর খোন্দকার।
সভায় রাজশাহী বিভাগের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়। এ বিভাগে করোনাভাইরাস সংক্রমিত কোভিড-১৯ রোগের রোগি শনাক্ত হলে কী কী করণীয় সে ব্যাপারে বিস্তারিত আলোচনা হয়। এছাড়া পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত মানুষকে ঘরে রাখতে প্রশাসনের কঠোর হওয়া এবং সড়কে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করার ব্যাপারে বিস্তারিত আলোচনা হয়।
সভায় পুলিশের রাজশাহী রেঞ্জের উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) একেএম হাফিজ আক্তার, বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. গোপেন্দ্রনাথ আচার্য্য, রাজশাহীর জেলা প্রশাসক হামিদুল হক, রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল জামিলুর রহমান, রাজশাহীর সিভিল সার্জন ডা. এনামুল হকসহ অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
সভা শেষে বিভাগীয় কমিশনার হুমায়ুন কবীর খোন্দকার বলেন, রাজশাহী বিভাগে এখনও করোনা আক্রান্ত রোগি শনাক্ত হয়নি। তবে শনাক্ত হলে কীভাবে রোগটি মোকাবিলা করা যাবে সে বিষয়ে সভায় আলোচনা হয়। তিনি বলেন, রাজশাহীতে জেনারেল হাসপাতাল নেই। তাই মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, দুটি বেসরকারি হাসপাতাল এবং তিনটি স্টেডিয়ামকেই প্রস্তুত রাখার ব্যাপারে সবাই সহমত প্রকাশ করেছেন।
এছাড়া আইনের প্রয়োগ করে মানুষকে আপাতত বাড়িতে রাখার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে। অতিব জরুরি ছাড়া কেউ বাড়ি থেকে বের হতে পারবেন না। প্রশাসন এ বিষয়টি নিশ্চিত করবে। সড়কে জরুরি কাজে নিয়োজিত এবং পণ্য পরিবহনকারী গাড়ি ছাড়া অন্য যানবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হবে।
এদিকে সভা শেষেই এসব নির্দেশনা বাস্তবায়নে পুলিশ ও প্রশাসনের কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। রাজশাহী লকডাউনের ঘোষণা দেওয়া না হলেও পরিস্থিতি অনেকটা তেমনই। শুধু ওষুধের দোকান ছাড়া অন্য কোনো দোকান খোলা যাবে না বলেও মাইকিং করা হচ্ছে। রাজশাহী শহরে প্রবেশের আগের কয়েকটি মোড়ে মোড়ে অবস্থান নিয়েছে পুলিশ। রাস্তায় বসানো হয়েছে ব্যারিকেড। এভাবে মানুষের চলাচল নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা চলছে। এছাড়া জনসমাগম ঠেকাতে জেলা প্রশাসনের সঙ্গে কাজ করছেন সেনা বাহিনীর সদস্যরাও।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার
এই বিভাগের আরও খবর