করোনাভাইরাসের সংক্রমনের ঝুঁকি এড়াতে টাঙ্গাইলে ৫ম দিনের মতো চলছে লকডাউন । লকডাউন কার্যকর করতে জেলায় ৫৪টি চেকপোষ্টে সর্বক্ষনিক পুলিশ নজরদারি করছে। পুলিশের পাশাপাশি র্যাব ও ও সেনাসদস্যরা চেকপোষ্ট কার্যকরী করতে কাজ করে যাচ্ছে। যাতে অন্য জেলায় কোন গণপরিবহন বা বাহিরের কোন ব্যক্তি শহরে প্রবেশ করতে না পারে।
আজ শনিবার টাঙ্গাইলের প্রধান কাঁচাবাজারে পার্কবাজারে মানুষের উপচেপড়া ভিড়। মানা হচ্ছে না সামাজিক দূরত্ব। গাদাগাদি করে মানুষ বাজার করছে। এতে করে সংক্রমণের ঝুঁকি বেড়ে যাচ্ছে। সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে কাঁচা বাজারের কিছু অংশ স্থানীয় ঈদগাহ মাঠে স্থানান্তর করা হলেও তা খুব বেশী কাজে আসছেনা। এতো কিছুর পরও তুচ্ছ অযুহাত দেখিয়ে ঘর থেকে বের হচ্ছে মানুষ।
অন্যদিকে, টাঙ্গাইলে ঘাটাইলে তথ্য গোপন করে পালিয়ে থাকা করোনায় আক্রান্ত এক ব্যক্তিকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। এসময় তার বাড়িসহ ঘাটাইল উপজেলার রসুলপুর ইউনিয়নের ঘোনার দেউলী পশ্চিমপাড়া গ্রামের ১২০ পরিবারকে লকডাউন ঘোষণা করে স্থানীয় প্রশাসন।
গতকাল শুক্রবার (১০ এপ্রিল) রাত ১২টার দিকে করোনায় আক্রান্ত মহিউদ্দিন ওরফে সালামকে উপজেলার সংগ্রামপুরের ঘোনার দেউলি থেকে হেফাজতে নেয় পুলিশ। তিনি পেশায় গার্মেন্টস কর্মী।
ঘাটাইল উপজেলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অঞ্জন কুমার সরকার জানান, গাজীপুরের একটি কারখানায় কাজ করতেন মহিউদ্দিন। কাজের সুবাদে তিনি দীর্ঘদিন ধরে ওই এলাকাতেই বসবাস করতেন। চলতি মাসের ৪ তারিখ থেকে ৭ তারিখ পর্যন্ত সে ঢাকার শেরেবাংলা নগর হাসপাতালে ভর্তি থেকে চিকিৎসাধীন ছিলেন। চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় ওই হাসপাতালের চিকিৎসকগণ তার মাঝে করোনার উপসর্গ দেখতে পেলে নমুনা সংগ্রহ করে আইইডিসিআরে প্রেরণ করে। একই সাথে তাকে কুর্মিটোলা হাসপাতালে রেফার্ড করে।
তিনি আরও জানান, কিন্তু এই যুবক সেখানে ভর্তি না হয়ে পালিয়ে গ্রামের বাড়িতে চলে আসে। কয়েকদিন আগে সে জানতে পারে তার করোনা পজেটিভ। তারপর থেকে সে তার ফোন নাম্বারটি বন্ধ করে দেয়। দীর্ঘ প্রচেষ্টার পর প্রয়ুক্তির সহায়তায় পুলিশ তাকে হেফাজতে নেয়। রাতেই তাকে ঢাকায় প্রেরণের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/সিফাত আব্দুল্লাহ