ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মারা যাওয়া মালয়েশিয়া প্রবাসী ব্যক্তি করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়ার খবরে ওই ব্যক্তিকে চিকিৎসা দেয়া তিন চিকিৎসক ও এক ফার্মেসী মালিককে হোম কোয়ারেন্টিনে থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
নাসিরনগর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. অভিজিৎ রায়ও এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। জানা গেছে, ওই ব্যক্তি ২০ মার্চ মালয়েশিয়া থেকে দেশে ফিরেন। নিয়ম অনুযায়ী ১৪ দিন কোয়ারেন্টিনেও ছিলেন ৩৫ বছর বয়সী ওই প্রবাসী। কোয়ারেন্টি থাকাকালে তার শারীরিক কোনো সমস্যা হয়নি। পরবর্তীতে ৪ এপ্রিল তিনি অসুস্থ বোধ করলে তার কিছু পরীক্ষা-নীরিক্ষা করা হয়। এতে কার শরীরে টাইফয়েডের জীবাণু ধরা পড়ে। এরপর ৭এপ্রিল তিনি শ্বাসকষ্ট নিয়ে মারা যান। এ ঘটনায় ওই প্রবাসীর নিজ বাড়ি ও তার শ্বশুরবাড়ি লকডাউন করে দেয় উপজেলা প্রশাসন।
রবিবার রিপোর্ট হাতে পেয়ে তিন চিকিৎসক ও হাতে ক্যানোলা লাগানো ফার্মেসী মালিককে হোমকোয়ান্টিনে থাকার নির্দেশ দেয়া হয়।
উল্লেখ্য, ওই ব্যক্তি নিয়ে জেলায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যের সংখ্যা দাঁড়ালো তিন জন। এছাড়া আরো সাতজন করোনায় আক্রান্ত হয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় চিকিৎসা নিচ্ছেন। ইতিমধ্যেই ব্রাহ্মণবাড়িয়াকে লকডাউন করা হয়েছে। যদিও এলাকার মানুষ সেভাবে লকডাউন মানছেন না।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার