যতই দিন যাচ্ছে, প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ততই বাড়ছে। সেই সঙ্গে দীর্ঘ হচ্ছে মৃত্যুর মিছিলও।
প্রতি মুহূর্তে প্রাণঘাতী এই ভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছেন অসংখ্য মানুষ। ইতিমধ্যে বিশ্বব্যাপী আক্রান্তের সংখ্যা ২০ লাখ ছাড়িয়েছে। এখন পর্যন্ত মারা গেছেন এক লাখ ৩১ হাজার ৩৪১ জন। সুস্থ হয়ে উঠেছেন পাঁচ লাখ ৫ হাজার ২৮২ জন।
জনস হপকিন্স ইউনিভার্সিটির সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী, বুধবার রাত ১১টা ৪০ পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে করোনা শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০ লাখ ৪৪ হাজার ২৫৩ জন।
যুক্তরাষ্ট্রে বুধবার পর্যন্ত করোনা শনাক্ত হয়েছে ছয় লাখ ২২ হাজার ৪১২ জনের। আর দেশটিতে করোনায় প্রাণহানি ২৭ হাজার ৫৪৯ জন ছাড়িয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের পর করোনা শনাক্ত হওয়া শীর্ষ পাঁচটি দেশ ইউরোপের। এর মধ্যে স্পেনে শনাক্ত এক লাখ ৭৭ হাজার ৬৩৩ জন ও মৃত্যু ১৮ হাজার ৫৭৯ জন, ইতালিতে শনাক্ত এক লাখ ৬৫ হাজার ১৫৫ ও মৃত্যু ২১ হাজার ৬৪৫ জন, জার্মানিতে শনাক্ত এক লাখ ৩৩ হাজার ১৫৪ ও মৃত্যু ৩ হাজার ৫৯২ জন, ফ্রান্সে শনাক্ত এক লাখ ৪৩ হাজার ৩০৩ ও মৃত্যু ১৫ হাজার ৭২৯ জন, যুক্তরাজ্যে শনাক্ত ৯৮ হাজার ৪৭৬ ও মৃত্যু ১২ হাজার ৮৬৮ জন।
এরপরের তিনটি দেশ এশিয়ার চীন, ইরান ও তুরস্ক। এর মধ্যে চীনে নতুন শনাক্তের সংখ্যা এখন অনেক কম। ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত চীনে করোনা শনাক্ত হয়েছে ৮২ হাজার ২৯৫ জনের ও মারা গেছে তিন হাজার ৩৪২ জন। দেশটিতে ইতিমধ্যেই সুস্থ হয়েছে ৭৮ হাজারের বেশি করোনা রোগী। আর ইরান ও তুরস্কে এখনো বাড়ছে করোনা শনাক্ত রোগীর সংখ্যা। এখন পর্যন্ত ইরানে শনাক্ত হয়েছে ৭৬ হাজার ৩৮৯ ও মারা গেছে চার হাজার ৭৭৭ জন এবং তুরস্কে শনাক্ত ৬৫ হাজার ৩৯২ ও মারা গেছে এক হাজার ৫১৮ জন।
বিশ্বজুড়ে করোনা শনাক্তের গতিবিধি বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, শুরুতে করোনা শনাক্ত চীনে বেশি হলেও ধীরে ধীরে প্রাদুর্ভাবের কেন্দ্রে চলে আসে ইউরোপ। ইতালি, স্পেন, জার্মানি, যুক্তরাজ্যের মতো দেশ বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে করোনা মোকাবিলায়। তবে এপ্রিলে সব ছাপিয়ে শীর্ষে চলে আসে উত্তর আমেরিকার শক্তিধর দেশ যুক্তরাষ্ট্র। এখন এ দেশটিতেই করোনা শনাক্ত ও আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা বেশি।
বিডি প্রতিদিন/কালাম