প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠকে ভারতের প্রায় সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরাই দাবি তুলেছিলেন, অ্যালকোহল বা মদ বিক্রিতে ছাড় দেওয়া হোক। লকডাউনের জন্য দোকান-বাজার বন্ধ থাকায় রাজস্ব আয় কমে গিয়ে কোষাগার প্রায় খালি। মদ বিক্রি হলে অনেকটাই রাজস্ব আয় বাড়বে।
কিন্তু মোদি সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নির্দেশিকা জারি করে জানিয়ে দিয়েছে, ৩ মে পর্যন্ত লকডাউন পর্বে মদ বিক্রি পুরোপুরি বন্ধ থাকবে। গুটখা ও অন্যান্য তামাক বিক্রির উপরেও কড়া নিষেধাজ্ঞা থাকছে।
২০ এপ্রিল থেকে বেশ কিছু ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া হলেও মদ বিক্রির উপরে নিষেধাজ্ঞা বহাল রয়েছে। আসাম, মেঘালয়ের মতো কিছু রাজ্য সম্প্রতি মদ বিক্রির উপর নিষেধাজ্ঞা শিথিল করলেও কেন্দ্রের বক্তব্য, কোনও রকম ছাড় দেওয়া চলবে না।
রাজ্যগুলির যুক্তি ছিল, খাদ্য সুরক্ষা আইনে মদ খাদ্যদ্রব্যের মধ্যেই পড়ে। অন্য খাদ্য সামগ্রীতে ছাড় রয়েছে, ফলে মদেও ছাড় দেওয়া উচিত। তা ছাড়া সরকারি ভাবে মদ বিক্রি বন্ধ থাকলেও, কালোবাজারে দ্বিগুণ, তিনগুণ দামে বিক্রি চলছে। রাজ্যের রাজস্ব ক্ষতি হচ্ছে। বেআইনি চোলাই মদের বিক্রিও বাড়ছে। আর অ্যালকোহল না-পেয়ে এতে আসক্তদের অসুবিধা হচ্ছে। আত্মহত্যার চেষ্টাও করছেন অনেকে।
কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকারি সূত্রের যুক্তি, করোনার সময় মদ্যপান না-করারই পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকেরা। যাতে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। পাশাপাশি, ঘিঞ্জি এলাকায় মদ্যপায়ীরা লকডাউন ভেঙে বেরিয়ে পড়লে পুলিশের পক্ষে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া কঠিন।
সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা
বিডি প্রতিদিন/ফারজানা