ইউরোপে ইতালি ও স্পেন যখন কভিড-১৯ করোনাভাইরাসে নাকাল, তখন ব্যতিক্রম দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে পর্তুগাল। দেশটিতে চলাফেরায় বিধিনিষেধ আগামী ১ মে পর্যন্ত থাকছে। কিন্তু ইস্টার উপলক্ষ্যে সরকারের পক্ষ থেকে যে কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছিল তা প্রত্যাহার করা হয়েছে। নাগরিকদের মধ্যে ঐক্য ও দ্রুততার সঙ্গে সরকার পদক্ষেপ নিতে সমর্থ হওয়ার পর্তুগাল এমন সুফল পেয়েছে। এছাড়া পর্তুগালের এ সুফলের পেছনে ভৌগলিক অবস্থানেরও কিছুটা ভূমিকা রয়েছে।
স্পেন কিংবা ইতালির চেয়ে পর্তুগালের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা অনেকটা ভঙ্গুর। তাই করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় যে হিমশিম খেতে হবে তা আগে থেকেই ধরে নিয়েছিল সরকার। সে জন্য করোনায় সংক্রমণ ছড়াতেই শুরুর দিকেই বন্ধ করে দেওয়া হয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, পর্যটন স্পট। ফল দেশটিতে এখন করোনা সংক্রমণের হার মাত্র ৩ শতাংশ। অথচ স্পেনে তা ১০ শতাংশ, ব্রিটেনে ১২ এবং ফ্রান্সে ১৫ শতাংশ।
পর্তুগালে আজ বৃহস্পতিবার পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১৮ হাজার ৯১ জন এবং মারা গেছে ৫৯৯। সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৩৮৩ জন। সূত্র: পলিটিকো
বিডি প্রতিদিন/ফারজানা