করোনা মহামারিতে জীবনবাজি রেখে একের পর এক ৬১ লাশ দাফন করা নারায়ণগঞ্জের মানবতার ফেরিওয়ালা খ্যাত কাউন্সিলর মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদের স্ত্রীর জীবন আশঙ্কাজনক। শনিবার রাত ১১টা ৩৫ মিনিটে কাউন্সিলর খোরশেদ বাংলাদেশ প্রতিদিনকে স্ত্রীর অসুস্থতার কথা জানানোর সময় অ্যাম্বুলেন্সের সাইরেন বাজছিল।
কাঁপা কাঁপা কণ্ঠে তিনি বলেন, শ্বাসকষ্টে অক্সিজেন লাগানো রয়েছে আমার স্ত্রী লুনার। একটু দোয়া করেন সবাই প্লিজ। আমি এখন কাঁচপুর সাজেদা হাসপাতালে যাচ্ছি। আইসিইউ পেতে হয়ত সকাল হয়ে যাবে। বাঁচা মরা তো আল্লাহর হাতে।
তিনি আরও বলেন, করোনায় আক্রান্ত হয়ে আমার স্ত্রী আফরোজা খন্দকার লুনার শ্বাসকষ্ট বাড়ার পাশাপাশি পুরো শরীর নিস্তেজ হয়ে গেছে। বিশেষ করে আমার ( খোরশেদ) করোনা পজিটিভ হওয়ার খবরে আরও ভেঙ্গে পড়েছে সে।
শনিবার করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ আসে কাউন্সিলর মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদের। এর আগে তার স্ত্রী করোনায় আক্রান্ত হয়ে আইসোলেশনে বাড়িতেই ছিলেন।
কাউন্সিলর খোরশেদ বলেন, আমি রিপোর্ট পেয়েছি। এতে আমার দেহে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। করোনা শুরু হওয়ার পর থেকে শুক্রবার পর্যন্ত ৬১টি লাশ দাফন করেছি আমি। এখন নিজ বাড়িতেই আইসোলেশনে চলে গেছি। আমি নিজে চিকিৎসা নেব বাড়িতে থেকে।
তিনি আরও জানান, আমি আক্রান্ত হলেও আমার সকল কার্যক্রম চলবে। আমার টিম সক্রিয় থাকবে। আমার ফোন চালু থাকবে। আমি যতদিন বেঁচে আছি এক বিন্দুও নড়ব না।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার