শিরোনাম
- শান্তির বিশ্ব গড়তে জাতিসংঘকে সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে হবে : ড. ইউনূস
- লিবিয়ায় অভিবাসীরা নির্যাতন ও অপহরণের শিকার হচ্ছেন : আইওএম প্রধান
- নারায়ণগঞ্জে মুসল্লিদের ৬০ বছরের ভোগান্তির অবসানে ডিসির উদ্যোগ
- দেশের ভেতরে নাশকতায় শেখ হাসিনার পরিকল্পনা কাজ করছে : গয়েশ্বর
- ওমরাহ যাত্রীদের নতুন নিয়ম : রিটার্ন টিকিট ক্রয় বাধ্যতামূলক
- লাকসামে কারাতে বেল্ট ও সার্টিফিকেট প্রদান
- ফাজিল পরীক্ষা শুরু শনিবার, অংশ নেবে ১ লাখ ১৭ হাজার শিক্ষার্থী
- সব জাতিগোষ্ঠীর সমন্বয়ে ঐক্যবদ্ধ বাংলাদেশ গড়বে বিএনপি : মির্জা ফখরুল
- ওয়েলসে স্টারমারের লেবার পার্টির ঐতিহাসিক পরাজয়
- ইমাম অপহরণের ঘটনায় টঙ্গীতে বিক্ষোভ, মহাসড়ক অবরোধ
- এমন সমাজ গড়তে চাই, যেখানে দুর্নীতি-দুঃশাসন থাকবে না : নবীউল্লাহ নবী
- বেনাপোলে বিএনপির যৌথ সভা, ঐক্যবদ্ধভাবে কাজের আহ্বান
- বিএনপির ৩১ দফা বাস্তবায়নে মোংলায় সমাবেশ
- কক্সবাজার বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক করার উদ্যোগ স্থগিতের সিদ্ধান্ত
- ‘জুলাই আন্দোলন উপদেষ্টাদের ভাগবাটোয়ারার জন্য হয়নি’
- পার্বত্য চট্টগ্রামের উন্নয়নের বিকল্প নেই : সুপ্রদীপ চাকমা
- আমি পক্ষপাতদুষ্ট চিন্তা ও সিদ্ধান্ত গ্রহণে অভ্যস্ত নই : জ্বালানি উপদেষ্টা
- শিশুদের মাঝে বেঁচে থাকতে চান নাসির
- রাজনৈতিক শক্তির মধ্যে বিভাজনে সুযোগ পাবে ফ্যাসিস্ট শক্তি : আমান
- শনিবার মধ্যরাত থেকে উঠছে নিষেধাজ্ঞা, ইলিশ শিকারে নামবেন জেলেরা
রাজশাহীর সব এলাকা রেড জোন
নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
অনলাইন ভার্সন
করোনাভাইরাসের বিস্তারে রাজশাহীর সব এলাকা এখন রেড জোনের ভিতরে চলে গেছে। বিশেষ করে রাজশাহী মহানগরীতে লাগামহীন করোনা। তবে এখনও লকডাউনের মতো কোনো সিদ্ধান্ত আসছে না।
আজ শুক্রবার সকালে রাজশাহীর সিভিল সার্জন ডা. এনামুল হক বলেন, রাজশাহীতে জনসংখ্যা ৩০ লাখ। আর আক্রান্তের সংখ্যা ৯১০ জন। জোন ঘোষণার শর্ত অনযায়ী, জেলা ও মহানগরীর সব এলাকা এখন রেড জোন। কিন্তু লকডাউনের শর্ত ভিন্ন। যার কারণে লকডাউন ঘোষণা করা সম্ভব হচ্ছে না।
সিভিল সার্জনের কার্যালয়ের হিসাব অনুযায়ী, শুক্রবার সকাল পর্যন্ত রাজশাহী জেলা ও মহানগরীতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৯১০ জন। এর মধ্যে ৬৫০ জনই শনাক্ত হয়েছেন রাজশাহী মহানগর এলাকায়। এছাড়া জেলার বাঘা উপজেলায় ২০, চারঘাটে ২৮, পুঠিয়ায় ১৪, দুর্গাপুরে ১২, বাগমারায় ৩১, মোহনপুরে ৪১, তানোরে ৩৭, পবায় ৬৭ এবং গোদাগাড়ীতে ১০ জন কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়েছেন।
রাজশাহীতে এ পর্যন্ত মারা গেছেন ৯ জন। এর মধ্যে রাজশাহী সিটিতেই প্রাণ গেছে ৫ জনের। এর বাইরে বাঘা, চারঘাট, পবা ও মোহনপুরে একজন করে মারা গেছেন। তবে বৃহস্পতিবার গভীর রাতে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যাওয়া দুই করোনা রোগীর তথ্য সিভিল সার্জনের কার্যালয়ের এ হিসাবে নেই। তাদের ধরলে রাজশাহীতে এখন মৃতের সংখ্যা ১১।
সিভিল সার্জনের কার্যালয় বলছে, রাজশাহীতে এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১৪০ জন। আর চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছেন ৭৬১ জন। এর মধ্যে নগরীতে চিকিৎসাধীন ৫৯০ জন। গ্রামের চেয়ে শহরে সংক্রমণের হার অনেক বেশি।
সিভিল সার্জন ডা. এনামুল হক বলেন, শহরে সংক্রমণ বেশি হওয়ার কারণ দেরিতে পরীক্ষা শুরু করা। রাজশাহীতে ল্যাব চালুর পর প্রথমে উপজেলাগুলোকে গুরুত্ব দিয়ে নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। সেই তুলনায় শহরের নমুনার পরীক্ষা হয়েছে কম। তখনই করোনা শহরে বিস্তার লাভ করেছে।
লকডাউন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘একবার তো লকডাউন হলো নামমাত্র। সেই লকডাউন দিয়ে তো কোনো লাভ নেই। লকডাউন দিলে এবার কঠোরভাবে দিতে হবে। সেটা পুরো এলাকার জন্য সম্ভব না। আমরা এভাবে এগোচ্ছি যে, একটি বাড়িতে করোনা রোগী শনাক্ত হলে সেটিসহ তার আশপাশের আরও কয়েকটি বাড়ি লকডাউন করা। অথবা কোনো মহল্লায় কয়েকটি বাড়িতে করোনা রোগী পাওয়া গেলে সে মহল্লাটিই লকডাউন করা। কিন্তু পুরো শহর লকডাউন করা সম্ভব না।’
শহরে করোনা পরিস্থিতির অবনতি বিষয়ে রাজশাহী-২ (সদর) আসনের এমপি ফজলে হোসেন বাদশা বলেন, ‘প্রশাসনকে আমি লকডাউনের প্রস্তাব দিয়েছি। কিন্তু প্রশাসন সেই পথে এগোচ্ছে না। এখন আমি সিটি মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের সঙ্গে বসব। তারপর আমরাই একটা সিদ্ধান্ত নেবো।’
বিডি প্রতিদিন/এনায়েত করিম
এই বিভাগের আরও খবর