শিরোনাম
- সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের সহায়তায় গাইলেন বাপ্পা মজুমদার ও কোনাল
- বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার
- নগদ টাকার লেনদেন কমাতে পারলে দুর্নীতি কমে আসবে: গভর্নর
- প্রথমবারের মতো ভাড়াটিয়া-বাড়িমালিকদের নিয়ে বসছে ডিএনসিসি
- অন্যস্বর টরন্টোর আয়োজনে অভিনেত্রী শান্তা ইসলামের সঙ্গে কথোপকথন
- বিশ্বের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চল হবে দক্ষিণ এশিয়া: বিশ্বব্যাংক
- সাক্ষী না আসায় পিছিয়েছে আবু সাঈদ হত্যা মামলার শুনানি
- ৭৫ দেশের ২৫০টি সিনেমা নিয়ে ঢাকায় উৎসব
- তিন আর্জেন্টাইনের দাপটে ফাইনালে মায়ামি
- চোর সন্দেহে গণপিটুনীতে যুবক নিহত, আহত ৩
- সিডনিতে সাবেক এআইইউবিয়ানদের গ্র্যান্ড রিইউনিয়ন অনুষ্ঠিত
- জামিন পেলেন ঢাবি শিক্ষক হাফিজুর রহমান কার্জন
- বাউফলে জাল দলিল তৈরির দায়ে যুবকের কারাদণ্ড
- ৪৯ বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠালো মালয়েশিয়া
- অন্তর্বর্তী সরকার ভালো দৃষ্টান্ত রেখে যাবে: পরিবেশ উপদেষ্টা
- কানাডা সহজ করেছে নাগরিকত্ব পাওয়ার নিয়ম
- বাংলাদেশি চিকিৎসক-নার্স নিয়োগে জিটুজি ফ্রেমওয়ার্ক প্রস্তাব সৌদির
- জাতীয় নির্বাচনে ভোট দিতে ২০ হাজার ৮৬২ প্রবাসীর নিবন্ধন
- মাত্র ১৬ বাসে ঠাঁই মিলল না জবির অধিকাংশ শিক্ষার্থীর
- অল্প সময়ের মধ্যে চার ভূমিকম্প কী ইঙ্গিত দিচ্ছে
রাজশাহীর সব এলাকা রেড জোন
নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
অনলাইন ভার্সন
করোনাভাইরাসের বিস্তারে রাজশাহীর সব এলাকা এখন রেড জোনের ভিতরে চলে গেছে। বিশেষ করে রাজশাহী মহানগরীতে লাগামহীন করোনা। তবে এখনও লকডাউনের মতো কোনো সিদ্ধান্ত আসছে না।
আজ শুক্রবার সকালে রাজশাহীর সিভিল সার্জন ডা. এনামুল হক বলেন, রাজশাহীতে জনসংখ্যা ৩০ লাখ। আর আক্রান্তের সংখ্যা ৯১০ জন। জোন ঘোষণার শর্ত অনযায়ী, জেলা ও মহানগরীর সব এলাকা এখন রেড জোন। কিন্তু লকডাউনের শর্ত ভিন্ন। যার কারণে লকডাউন ঘোষণা করা সম্ভব হচ্ছে না।
সিভিল সার্জনের কার্যালয়ের হিসাব অনুযায়ী, শুক্রবার সকাল পর্যন্ত রাজশাহী জেলা ও মহানগরীতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৯১০ জন। এর মধ্যে ৬৫০ জনই শনাক্ত হয়েছেন রাজশাহী মহানগর এলাকায়। এছাড়া জেলার বাঘা উপজেলায় ২০, চারঘাটে ২৮, পুঠিয়ায় ১৪, দুর্গাপুরে ১২, বাগমারায় ৩১, মোহনপুরে ৪১, তানোরে ৩৭, পবায় ৬৭ এবং গোদাগাড়ীতে ১০ জন কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়েছেন।
রাজশাহীতে এ পর্যন্ত মারা গেছেন ৯ জন। এর মধ্যে রাজশাহী সিটিতেই প্রাণ গেছে ৫ জনের। এর বাইরে বাঘা, চারঘাট, পবা ও মোহনপুরে একজন করে মারা গেছেন। তবে বৃহস্পতিবার গভীর রাতে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যাওয়া দুই করোনা রোগীর তথ্য সিভিল সার্জনের কার্যালয়ের এ হিসাবে নেই। তাদের ধরলে রাজশাহীতে এখন মৃতের সংখ্যা ১১।
সিভিল সার্জনের কার্যালয় বলছে, রাজশাহীতে এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১৪০ জন। আর চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছেন ৭৬১ জন। এর মধ্যে নগরীতে চিকিৎসাধীন ৫৯০ জন। গ্রামের চেয়ে শহরে সংক্রমণের হার অনেক বেশি।
সিভিল সার্জন ডা. এনামুল হক বলেন, শহরে সংক্রমণ বেশি হওয়ার কারণ দেরিতে পরীক্ষা শুরু করা। রাজশাহীতে ল্যাব চালুর পর প্রথমে উপজেলাগুলোকে গুরুত্ব দিয়ে নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। সেই তুলনায় শহরের নমুনার পরীক্ষা হয়েছে কম। তখনই করোনা শহরে বিস্তার লাভ করেছে।
লকডাউন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘একবার তো লকডাউন হলো নামমাত্র। সেই লকডাউন দিয়ে তো কোনো লাভ নেই। লকডাউন দিলে এবার কঠোরভাবে দিতে হবে। সেটা পুরো এলাকার জন্য সম্ভব না। আমরা এভাবে এগোচ্ছি যে, একটি বাড়িতে করোনা রোগী শনাক্ত হলে সেটিসহ তার আশপাশের আরও কয়েকটি বাড়ি লকডাউন করা। অথবা কোনো মহল্লায় কয়েকটি বাড়িতে করোনা রোগী পাওয়া গেলে সে মহল্লাটিই লকডাউন করা। কিন্তু পুরো শহর লকডাউন করা সম্ভব না।’
শহরে করোনা পরিস্থিতির অবনতি বিষয়ে রাজশাহী-২ (সদর) আসনের এমপি ফজলে হোসেন বাদশা বলেন, ‘প্রশাসনকে আমি লকডাউনের প্রস্তাব দিয়েছি। কিন্তু প্রশাসন সেই পথে এগোচ্ছে না। এখন আমি সিটি মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের সঙ্গে বসব। তারপর আমরাই একটা সিদ্ধান্ত নেবো।’
বিডি প্রতিদিন/এনায়েত করিম
এই বিভাগের আরও খবর
সর্বশেষ খবর