বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে কাশেম খলিফা (৫৫) নামে শ্রমিক লীগের এক নেতার মৃত্যু হয়েছে।
সোমবার সন্ধ্যা পৌনে ৬টার দিকে উপজেলা সদরের রায়েন্দা বাজারে নিজ বাড়িতে তার মৃত্যু হয়।
গত ৭ জুলাই শরণখোলা উপজেলা সদর রায়েন্দা বাজারের রহিম খলিফার ছেলে কাশেম খলিফার (৫৫) জ্বর ও সর্দি-কাশি নিয়ে শরণখোলা হাসপাতালে যান। এসময় কর্তব্যরত চিকিৎসক তার নমুনা সংগ্রহ করে খুলনার পিসিআর ল্যাবে পাঠান। সেখান থেকে রবিবার তার করোনা রিপোর্ট পজেটিভ আসে।পরে তিনি তার বাসায় আইসোলেশনে থেকে চিকিৎসা নিচ্ছিল। সোমবার দুপুরের পর থেকে তার শ্বাসকষ্ট বেড়ে গিয়ে সন্ধ্যা পৌনে ৬টায় তার মৃত্যু হয়। করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত কাশেম খলিফা উপজেলা শ্রমিক লীগের সহ-সভাপতি ছিলেন।
করোনা স্বাস্থ্যবিধি মেনে উপজেলা সেচ্ছাসেবক কমিটি লাশ দাফনের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহণ করেছে। রায়েন্দা ইউনিয়নের উত্তর তাফালবাড়ি তার গ্রামের বাড়িতে রাতে লাশ দাফন দেয়া হবে। এ নিয়ে বাগেরহাট জেরায় করোনা আক্রান্ত হয়ে ৭ জনের মৃত্যু হলো।
বাগেরহাটের সিভিল সার্জন ডা. কেএম হুমায়ুন কবির জানান, বাগেরহাট জেলায় গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ১২ জনের শরীরে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। নতুন আক্রান্তের মধ্যে রয়েছেন সদর উপজেলায় ৮ জন, শরণখোলা উপজেলায় ২ জন ও মোংলা উপজেলায় ২ জন। এই নিয়ে বাগেরহাট জেলায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ৩২৩ জনে। এরমধ্যে ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। ১৯০ জন সুস্থ হয়েছেন। অন্যরা চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত